#সিল করে দেওয়া হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এএমইউ) মান্নান বশির ওয়ানির ঘর। ওয়ানির একে-৪৭ রাইফেল হাতে ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি কাশ্মীরী জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছেন বলে জল্পনার মধ্যেই তাঁকে বহিষ্কার করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আলিগড়ের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিসার্চ স্কলার ওয়ানির জঘন্য কাজকর্মের ব্যাপারে চিঠি পাওয়ার পরই কড়া পদক্ষেপের পথে পা বাড়ায় তারা।
শেষ ওয়ানিকে নিজের বিভাগে দেখা গিয়েছিল ২ জানুয়ারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর প্রফেসর মহসিন খান জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার ব্যাপারে সামগ্রিক তদন্ত শুরু হয়েছে, সেখানকার পড়ুয়াদের হস্টেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।


আলিগড়: কেন্দ্র যতই চেষ্টা করুক, কাশ্মীরী তরুণদের মূল স্রোতে ফেরানোর কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে এখনও অনেক দেরি। কাশ্মীরের যুব সমাজের জন্য যাবতীয় সরকারি প্রকল্প ব্যর্থ করে দিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পিএইচডি ছাত্র জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিলেন। অভিযুক্তের নাম মান্নান বশির ওয়ানি।

জানা গিয়েছে, বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ডিসেম্বরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নেন মান্নান। তারপর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে এ কে ৪৭ হাতে তাঁর ছবি। এরপরই তাঁর বাবা মা পুলিশে নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন।

এই ছাত্রের বয়স কুড়ির ঘরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, উত্তর কাশ্মীরে ফ্লাড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কাজে রিমোট সেন্সিং ও জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মান্নান এ মাসের ৫ তারিখ হিজবুলে যোগ দিয়েছেন, তাঁর কোডনেম হামজা ভাই। শোনা যাচ্ছে, তাঁর বাবা একজন লেকচারার, ভাই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে কাশ্মীর সরকারে কর্মরত।

তাঁর বাবার দাবি, আগে মান্নান ভীতু ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন কিন্তু গত বছর এক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হেনস্থা হওয়ার পর তাঁর চরিত্র বদলে যায়। নভেম্বরে শ্রীনগরে ঘটে এই ঘটনা।

৪ বছরের বেশি সময় ধরে আলিগড়ে পড়ছিলেন মান্নান। বন্ধুদের ধারণা ছিল, সিভিল সার্ভিসে যোগ দেবেন তিনি।