কোপ্পাল, গাদাগ:  সম্প্রতি তেলঙ্গানা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে বলা হয়, কোনও স্ত্রী যদি তাঁর মঙ্গলসূত্রে লাল পলা রেখে দেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতেই তিনি বিধবা হবেন। এরপরই মঙ্গলসূত্র থেকে লাল পলা ভাঙার হিড়িক পড়ে যায় দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন গ্রামে। এই অনুষ্ঠানকে 'হাভালা' বলা হয় কর্ণাটকে। এই গুজব রটে যাওয়ার পর চিত্রদূর্গ, কোপ্পাল, বল্লরী, গাদাগ জেলা থেকে একাধিক মঙ্গলসূত্র ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে। কোপ্পাল জেলার বেশ কিছু মহিলা জানিয়েছেন, তাঁদের আত্মীয়রা ফোন করে তাঁদের এবিষয়ে সতর্ক করেন। যাঁরা এই খবরকে পাত্তা দেননি, তাঁদের জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার খবরও শোনা গিয়েছে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখন দ্বিতীয় গুজবের অপেক্ষায় রয়েছেন ওই এলাকারা বিবাহিত মহিলারা। তাঁরা আশা করছেন, আবার কোনও এক ফোন আসবে, এবং তাঁরা ফের গলায় পরে নেবেন তাঁদের মঙ্গলসূত্র। যদিও আমজনতাকে এবিষয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও, প্রতিদিনই মঙ্গলসূত্র ভাঙার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

এক সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কোরাল সফটওয়্যারের খারাপ প্রভাব নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখা হয়।সেটা কোনও টিভি চ্যানেল না বুঝে মঙ্গলসূত্রে লাল পলার কুপ্রভাব নিয়ে খবর করে দেয়। এরপর সেই খবরই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে।