কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে কম্পিউটারে নজরদারি, তথ্য যাচাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ওই ১০টি এজেন্সির মধ্যে আইবি, ইডি, সিবিআই, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনআইএ, র আছে।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার পিটিশনের দ্রুত শুনানির সম্ভাবনা নাকচ করেছে। তারা বলেছে, বিষয়টি তেমন জরুরি নয়।
শর্মা কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ, অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেন পিটিশনে, বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে এজেন্সিগুলিকে কারও বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ফৌজদারি প্রক্রিয়া চালানো, তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে বিরত রাখার আবেদনও করেন। শর্মার দাবি, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জেতার জন্য গোটা দেশকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিরোধী রাজনীতিক, চিন্তাবিদ ও বক্তাদের খুঁজতেই ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা, দাসত্ব কায়েমের চেষ্টা হচ্ছে যা ভারতের সংবিধান অনুমোদন করে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই একতরফা নজরদারির নির্দেশকে গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকারের কষ্টিপাথরে বিচার করা উচিত বলেও অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
শর্মার পিটিশনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রতিটি বার্তা, কম্পিউটার ও মোবাইলে আড়িপাতার অধিকার, দেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক স্বার্থ, উদ্দেশ্য রক্ষায় তা ব্যবহারের অধিকারও আছে রাষ্ট্রের।
বিরোধী দলগুলিও সরব হয়ে দাবি করেছে, এহেন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেন্দ্র নজরদার রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাইছে। যদিও তাদের আপত্তি উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, কম্পিউটারের তথ্যে নজরদারি, আড়িপাতার নিয়মবিধি ২০০৯ সালে কেন্দ্রে কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের আমলেই তৈরি হয়েছিল, বর্তমান বিজ্ঞপ্তিতে কারা তা কার্যকর করতে পারবে, শুধু সেই ক্ষমতাসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের নাম জানানো হয়েছে।