নয়াদিল্লি: দেশের বিমান কোম্পানিগুলি 'একতরফা যেমন খুশি ভাড়া ঠিক করলেও কর্তৃপক্ষের ভূমিকা 'নীরব দর্শকের'। এমনই অভিযোগ করে বিমান ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ পিটিশন দায়ের করেছেন বেজন কে মিশ্র নামে জনৈক ক্রেতা সুরক্ষা অধিকার কর্মী। তাঁর বক্তব্য, আসনের ঘাটতি তৈরি হলে বিমান কোম্পানিগুলি প্রায়ই বেস প্রাইজের দশ গুণের বেশি ভাড়া হাঁকিয়ে বসে। তাই বিমানভাড়া বেঁধে দেওয়ার দরকার আছে।
অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করকে নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের এক বেঞ্চ এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত ডিরেক্টরেট জেনারেলের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।
অভিযোগের সমর্থনে ওই ক্রেতা সুরক্ষা অধিকার কর্মী ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সাম্প্রতিক ঘটনাটির উল্লেখ করেন যেখানে ইঞ্জিনের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কয়েকটি এ৩২০এন বিমান বসিয়ে দিতে হয় এবং একাধিক ফ্লাইট বাতিল করে বিমান সংস্থাটি। ফলে ইন্ডিগোর যাত্রীদের শেষ মূর্হূতে বাধ্য হয়ে আকাশছোঁয়া দামে অন্য বিমান কোম্পানির টিকিট কাটতে হয়।
অগ্রিম বুকিংয়ের সময় বিমান সংস্থাগুলিকে যেন ন্যয্য ভাড়াবৃদ্ধির অতিরিক্ত একটি পয়সাও চাওয়ার অনুমতি না দেওয়া হয়, দাবি করেছেন তিনি।
পিটিশনারের বক্তব্য, অসামরিক বিমান উড়ান ব্যবসায় চড়া মুনাফা তোলা, অন্যায় ভাবে বেশি পয়সা কামানোয় উত্সাহ না দিতে, আরও বেশি স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করার জন্যই বিমানভাড়া বেধে দেওয়া বা তা নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন থাকা দরকার।
এ ব্যাপারে আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।