নয়াদিল্লি: বড় কোম্পানিগুলি চাকরি দেওয়া কমিয়ে দিলে, সেটা ভাল লক্ষণ। আশ্চর্য্যজনক মন্তব্য রেলমন্ত্রী পিযুস গোয়েলের। সমালোচনায় সরব কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী।


দেশজুড়ে কোটি কোটি যুবক-যুবতী একটা চাকরির জন্য হা পিত্যেশ করে বসে আছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত সারা দেশ।এমনই একটা সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের রেলমন্ত্রী গোয়েল মনে করছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলি চাকরি দেওয়া কমিয়ে দিলে সেটা অর্থনীতির পক্ষে ভাল লক্ষণ!

গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তল বলেন,ভারতের প্রথম সারির ২০০টি কোম্পানি যদি নতুন কর্মস্থান তৈরি না করে, তাহলে সার্বিকভাবে শিল্পমহলের পক্ষে গোটা সমাজকে সঙ্গে নিয়ে চলাটা কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হয়ে পড়বে।

দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন! যা কোটি কোটি যুবক-যুবতীর মনের কথা! কিন্তু, রেলমন্ত্রীর বিষয়টি মোটেও উদ্বেগের মনে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে ওঠেন,কোম্পানিগুলি চাকরি দেওয়া কমিয়ে দিলে সেটা খুব ভাল লক্ষণ। কারণ, নতুন প্রজন্ম শুধু চাকরি চায় না, তাঁরা অন্যকে চাকরি দিতে চায়।

নতুন প্রজন্ম শিল্পোদ্যোগী হবে, এটা তো ভাল কথা! কিন্তু কোটি কোটি ছেলে-মেয়ে যখন দেশে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে, একটা চাকরির জন্য লড়াই করে যাচ্ছে, তখন কি দেশের রেলমন্ত্রীর এ ধরণের কথা বলা মানায়? মোদী সরকার নতুন চাকরি তৈরি করতে ব্যর্থ বলেই কি এখন এসব কথা বলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন মোদির মন্ত্রীরা? প্রশ্ন করছে কংগ্রেস। মোদী সরকারের মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মন্তব্য শেয়ার করে রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে বলেছেন, এই মন্তব্য চূড়ান্ত অপমানজনক। এ ধরণের কথা শুনে আমার দুঃখ হয়।

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও গোয়েলকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অজ্ঞের অজ্ঞতা একটা আশীর্বাদ। যদি গোয়েল চান যে, দেশের সব মানুষই চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করুন, তাহলে তার সূচনা গোয়েলের মাধ্যমেই শুরু হওয়া উচিত। তিনি প্রথমে তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ব্যবসাতে নিজের কর্মসংস্থান করুন।