গত ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সাতটি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে প্রায় ৪০ জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের কম্যান্ডোরা।
এই ঘটনা সেনার তরফে প্রকাশ পেতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। বিশেষ করে, উরি হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রত্যাঘাতের দাবি উঠছিল। মোদী নিজেও জানিয়েছিলেন, হামলাকারীরা ছাড় পাবে না।
তারপর ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনায় আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে দেশবাসী। সকলেই মনে করেন, পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এদেশে বিভিন্ন মতামত দিতে শুরু করেন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রাক্তন সামরিক কর্তাব্যক্তিরা। জনমানসেও তৈরি হয় বিপুল সমর্থনের জোয়ার।
শুধু তাই নয়, অভিযানের সত্যতা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দাবি উঠেছে, কেন্দ্রের উচিত অভিযানের ভিডিও ফুটেজ তথ্যপ্রমাণস্বরূপ প্রকাশ করা। তা আদৌ করা উচিত কি না, সেই নিয়েও তৈরি হয়েছে ধন্দ।
এই প্রেক্ষিতে, এদিন নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে (সিসিএস) যোগ দিয়ে মোদী এই মানসিকতায় গা ভাসিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন সকলকে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সকলের মুখ খোলার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যাঁদের বলার কথা, তাঁরাই যেন কথা বলেন। মোদীর সতর্কবাণী, কেউ যেন সরকারি লাইনের বাইরে গিয়ে কথা না বলেন।