নয়াদিল্লি: ডিজিটাল লেনদেনকে জীবনের অঙ্গ করে নেওয়ার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র। এদিন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষদিন। অধিবেশন শুরুর আগে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই আর্জি জানান। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে কালো সম্পদে রাশ টানা যাবে।
নোট বাতিল সম্পর্কে মোদী বলেছেন, এখন কিছু সমস্যা থাকলেও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশ খুব শীঘ্রই কালো সম্পদ ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের থেকে দেশ বড়। এ প্রসঙ্গে বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও এনডিএ-র কাছে দল নয়, দেশই বড়। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে তা ঠিক উল্টো। কংগ্রেসের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়।
মোদী আরও বলেন, আগে ক্ষমতাসীন দল দুর্নীতিতে জড়াত। এখন ক্ষমতাসীন দল কালো টাকা মোকাবিলায় কাজ করছে।আর বিরোধীরা সরকারের এই কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেস সরকারের আমলে ২ জি, কোলগেট, বফর্সের মতো দুর্নীতির ইস্যুগুলি উল্লেখ করেন।


নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে একহাত নিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, মনমোহন কালো টাকা ও দু্র্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করলেও তাঁর ১০ বছরের শাসনকালে এ নিয়ে কিছুই করেননি।
সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নাম না করেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন তো সেনার বীরত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার।
উল্লেখ্য, নোট বাতিল ইস্যুতে শাসক-বিরোধী চাপানউতোরের জেরে পুরো শীতকালীন অধিবেশনটাই কার্যত পণ্ড হয়ে গিয়েছে। এদিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই নোট বাতিল নিয়ে শুরু হয় সরকার-বিরোধী চাপানউতোর। তুমুল হৈ-হট্টগোলের জেরে বেলা ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। রাজ্যসভাতেও হৈ-হট্টগোল শুরু হয়। শাসক-বিরোধী দু'পক্ষেরই সমালোচনা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি। এরপরই এবারের মতো রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।