প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ এমন এক পথে এগোচ্ছে যেখানে উন্নয়নের সুফল কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সমস্ত নাগরিক পাচ্ছেন। আমরা এমন এক দিকে এগোচ্ছি যেখানে শুধুমাত্র ধর্মের কারণে কেউ পিছিয়ে পড়বেন না। প্রত্যেকেরই তাঁর স্বপ্নপূরণের সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে ধর্ম পরিচয়েই জন্ম হোক না কেন, আমাদের আশাআকাঙ্খাকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত করতে পারি, তা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের উন্নয়নের প্রশ্নে বাকি সবই গৌন। দেশের ক্ষেত্রে মতাদর্শগত পার্থক্যের প্রশ্নই নেই। এএমইউ থেকে অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী উঠে এসেছেন। তাঁদের আদর্শগত মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে তাঁরা সেই মতাদর্শগত পার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। স্বাধীনতার লক্ষ্য যেমন তাঁদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছিল, আমাদেরও তা করতে হবে নয়া ভারতের সাধারণ লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে।
রাজনীতির চশমা দিয়ে দেশের উন্নয়ন দেখা উচিত হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই লক্ষ্যে আমরা যখন একত্রিত হই, তখন কিছু অংশ নেতিবাচক মানসিকতা প্রদর্শন করে। কিন্তু নয়া ভারতের লক্ষ্য অটুট থাকলে সেই অংশ জমি হারাবে। রাজনীতি ও সমাজ অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু দেশের উন্নয়ন নয়। গত শতকে মতপার্থক্যের কারণে প্রচুর সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন আর অপচয় করার মতো সময় নেই।
দিল্লির সীমানা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে মাসব্যাপী কৃষক বিক্ষোভ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজনীতি ও সমাজ অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু দেশের উন্নয়ন নয়’ মন্তব্য তাৎপর্য্যপূর্ণ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এএমইউ ভারতের ক্ষুদ্র সংস্করণ। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারনা তুলে ধরা ও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। গত ৫৬ বছরে এই প্রথম এএমইউ-তে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সৈয়দনা মুফাদ্দল সফিউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালও।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুসলিম বালিকাদের মধ্যে স্কুল ছুটের শতকরা হার ছিল ৭০ শতাংশ, প্রায় ৭০ বছর ধরে তা চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষাপটে সরকার স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু করে, গ্রাম ও স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের জন্য শৌচাগার গড়ে তোলা হয়েছে। আর এখন ওই স্কুল ছুটের হার ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।