নয়াদিল্লি: প্রত্যাশা পূরণ হল না। বয়স্ক, কৃষক, গর্ভবতীদের জন্য সুখবর দিলেও, ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা প্রসঙ্গে একটিও শব্দ খরচ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অদূর ভবিষ্যতে নোট-সঙ্কট মেটার কোনও আশা দেখা গেল না তাঁর ভাষণে।

বছরের শেষদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, প্রবীণ নাগরিকরা ১০ বছরের জন্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্থায়ী আমানতে ৮ শতাংশ সুদ পাবেন। দেশের ৬৫০টি  জেলা হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিকর খাবার, টীকাকরণ ও প্রসবের জন্য ৬,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কৃষকরা রবিশস্যের জন্য গ্রামীণ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে ৬০ দিন পর্যন্ত সুদ দিতে হবে না। গ্রামীণ অঞ্চলে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ৩ শতাংশ সুদ মকুব করা হবে। ক্রেডিট গ্যারান্টি এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ছোট ব্যবসায়ীরা ঋণ পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুটি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, বাড়ি তৈরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ৪ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। ঋণের পরিমাণ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

নোট বাতিলের ফলে মানুষের কষ্টের কথা অবশ্য মেনে নিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব ব্যাঙ্ককে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যাঙ্ককর্মী এবং সরকারি আধিকারিক দুর্নীতি করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, মাত্র ২৪ লক্ষ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষের বেশি। এটা কি কোনওভাবে বিশ্বাসযোগ্য? অসৎদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।