গুজরাটের কেভাডিয়া ওয়াটার এয়ারাড্রোম থেকে যাত্রা শুরু করে সবরমতী রিভারফ্রন্টে পর্যন্ত গেল দেশের প্রথম সি প্লেন উড়ান। নর্মদা নদীবক্ষে এগোনো শুরু করে উড়ান ধরে সি প্লেন। প্রথম উড়ান উদ্বোধনের পাশাপাশি যাত্রী হিসেবে সফরও করেন নরেন্দ্র মোদি। সফর শুরুর আগে কেভাডিয়া এয়ারাড্রোমেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে সি প্লেন পরিষেবাও শুরু করেন তিনি।
সাধারণ বিমানের থেকে সি প্লেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে আলাদা। এই ধরণের বিমান চালাতে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় পাইলটদের। নদীবক্ষ থেকেই উড়ান নেওয়া ও নেমে আসতে সক্ষম সি প্লেনে সাধারণ বিমানের থেকে কম যাত্রী সফর করে থাকেন। তুলনামূলক অনেকটা নীচু দিয়ে ওড়ার ক্ষমতা থাকে সি প্লেনের।
মাত্র আধঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক দূরত্ব আকাশপথে পাড়ি দেওয়া যায় সি প্লেনে। দেশের মধ্যে চালু হওয়া একমাত্র সি প্লেন পরিষেবা আপাতত শুধুমাত্র উড়ান নেবে আহমেদাবাদ ও কেভাডিয়া মধ্যেই। উৎসাহী যে কেউ মাত্র দেড় হাজার টাকায় চড়তে পারবেন সি প্লেনে। স্পাইসজেট সংস্থার সিপ্লেন বিভাগ স্পাইসশাটেল এই সি প্লেন পরিষেবা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।