নয়াদিল্লি: গুজরাত ভোটের ফলে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে হাত মিলিয়েছেন তিনি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগে শোরগোল, বিতর্কের মধ্যেই বুধবার মুখোমুখি হলেন বর্তমান ও প্রাক্তন। ২০০১ সালের সংসদ চত্বরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আচমকা সামনাসামনি পড়ে যান তাঁরা। হাত মেলান পরস্পরের সঙ্গে।
গত রবিবার গুজরাতে নির্বাচনী জনসভায় মোদী দাবি করেন, কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ারের বাসভবনে ডিনারের আসরে গো.পন বৈঠকে পাকিস্তানের এক প্রাক্তন মন্ত্রী, সে দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে মনমোহন সিংহ গুজরাতে বিজেপির পরাজয় সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। মোদীর অভিযোগ, মনমোহনের সঙ্গে 'তিন ঘন্টার গোপন আলোচনায়' ছিলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার, সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিজেপিকে গুজরাতে হারাতে পাকিস্তানের কিছু শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলায় হইচই শুরু হয়ে যায়। সর্বদা মৃদুভাষী বলে পরিচিত মনমোহন তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে এই অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দেন, এটা 'মিথ্যাচার', 'অপপ্রচার'। ডিনারে গুজরাত নিয়ে কোনও কথাই হয়নি, আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েই। বিবৃতি দিয়ে মনমোহন বলেন, গত পাঁচ দশকে আমার দেশসেবার ট্র্যাক রেকর্ড সকলের জানা। হৃত রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার উদ্দেশ্যে মোদী সহ কারও সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই।



সংসদ চত্বরে ২০০১-এর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে দেখা যায় রাহুল গাঁধীকেও। গুজরাত ভোটের প্রচারে রাহুল, বিজেপি বিশেষত মোদী পরস্পরকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তবে এদিন রাহুল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রবিশঙ্কর প্রসাদকে হাল্কা মেজাজে কথা বলতে দেখা যায়।