বিরোধীরা নেতিবাচক রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আবেদন জানান। কংগ্রেস সভাপতিকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের গণতন্ত্রের শক্তির পরিচয় দেয়। টিডিপি এই প্রস্তাব আনলেও, অনেক দলই সমর্থন করেছে। একটা বড় অংশ আবার বিরোধিতা করেছে। আমি চাই এই প্রস্তাব খারিজ হোক। বিরোধীদের নেতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ্যে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তা-ও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তুতি না থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কেন? অনেকে চাইছিলেন তিনদিন ধরে আলোচনা হোক, অনেকে বলেছিলেন ভূমিকম্প হবে। জয়-পরাজয় হয়নি, অথচ তার আগেই একজন উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন। এত তাড়াহুড়ো কীসের? এত অহঙ্কার কীসের? অহঙ্কার এই ধরনের প্রবৃত্তির জন্ম দেয়। একজন আমার কাছে এসে বলেন, ওঠো, ওঠো। বোধহয় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো আছে। নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা। অন্যদের কী হবে? ২০১৯-এ কংগ্রেস জিতলে একজনেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা। আরও অনেকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা চলছে। যত অবিশ্বাস সরকারকে করেন, ততটা বিশ্বাস সম্ভাব্য সঙ্গীদের তো করুন। বিরোধীদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস নেই। এখন অনেকের মুখে শিবভক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। ভগবান শিব এমন শক্তি দিন, যাতে ২০২৪-এ অনাস্থা আনতে পারেন। আমি ভাবতেই পারিনি, সত্যকে এভাবে দাবিয়ে রাখা যায়। গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে চোখের ইশারা। আমি গরিব মায়ের সন্তান। নিচু জাতির। আমি কী করে আপনার চোখে চোখ রাখব? ইতিহাস জানে, যাঁরা চোখে চোখ রেখেছিলেন তাঁদের কী হয়েছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, চন্দ্রশেখর, জয়প্রকাশ নারায়ণ, প্রণব মুখোপাধ্যায় চোখে চোখ রেখেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কী করা হয়েছিল সবাই জানে। যাঁরা চোখে চোখ রাখেন, তাঁদেরই অপমান করা হয়। আপনি নামদার, আমি কামদার। আমি কী করে আপনার চোখে চোখ রাখব? আমি চৌকিদার, দেশের মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগীদার।’
রাফালে নিয়ে রাহুলের দাবির পাল্টা মোদী বলেন, ‘রাফালে চুক্তি দু’টি দেশের মধ্যে হয়েছে, কোনও দলের মধ্যে নয়। এত সংবেদনশীল বিষয়ে আলটপকা মন্তব্য করবেন না।’ ডোকলাম নিয়ে রাহুলের আক্রমণের জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন?’
সনিয়াকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস সবসময়ই দেশে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করে। ১৯৯৯-এ অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবার একজন বলেছিলেন, সরকার ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে। এত অহঙ্কার কীসের?’