নয়াদিল্লি: গত কয়েক বছরের পরম্পরা বজায় রেখে দীপাবলির দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন জয়সলমিরে ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ জওয়ানদের মাঝে কাটান। জয়সলমিরের লঙ্গেওয়ালায় দাঁড়িয়ে ফিরে গিয়েছেন ১৯৭১ সালে লঙ্গেওয়ালা পোস্টে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে।


সেদিনের যুদ্ধে যে সব সেনা প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ’’ লঙ্গেওয়ালায় সেনাদের বীরত্বের কথা কেউ ভোলেনি। ব্রিগেডিয়ার কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরীকে দেশ আজও সেলাম করে। সেদিনের যুদ্ধে তিনিই ছিলেন হিরো। ভারতের সেনার শক্তি কতটা তা তিনিই সেদিন পাক বাহিনীকে বুঝিয়েছিলেন।‘‘

১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় থর মরভূমির প্রান্তে লঙ্গেওয়ালা পোস্টে ভারত-পাক বাহিনীর মধ্যে এই লড়াই ছিল উল্লেখযোগ্য। দুই থেকে তিন হাজার পাক সেনা ৩০-৪০টি ট্যাঙ্ক নিয়ে হামলা চালায়।  পাল্টা জবাব দেয় ভারত।   চারটি যুদ্ধ বিমান নিয়ে লঙ্গেওয়ালা পোস্টে তাদেরকে প্রতিহত করেছিলেন ১২০ জন ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার পঞ্জাব রেজিমেন্টের ২৩তম ব্যাটেলিয়নের মেজর কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরী এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

বিনা প্ররোচনায় চৌঠা ডিসেম্বর রাতে হামলা চালায় পাক বাহিনী। সাতই ডিসেম্বর পর্যন্ত দুপক্ষের লড়াই চলেছিল। জয়সলমিরের বায়ু সেনার ঘাঁটি থেকে আকাশপথে লাগাতার আক্রমণ চালায় ভারত। ভারতের আক্রমণে পাক বাহিনীর ২৬টি ট্যাঙ্কার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাঁর সিদ্ধান্ত ও সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে তাঁকে মহা বীর চক্র দেওয়া হয়েছিল মেজর কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরীকে। তারপর থেকে লঙ্গেওয়ালা রণাঙ্গনের হিরো বলেই বেশি পরিচিত ছিলেন চাঁদপুরী। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের শুরুতে মারা যান চাঁদপুরী।আজ দিওয়ালির দিনে জলসলমিরের লঙ্গেওয়ালা থেকে সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে বার্তা দিলেন বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত।