নয়াদিল্লি: ভারত অন্য কারও ভূখণ্ড বা সম্পদের দিকে নজর দেয় না। অন্য দেশকে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করার ক্ষেত্রেও ‘দেওয়া-নেওয়া’ নীতি অবলম্বন করে না ভারত। নাম না করে চিনকে কটাক্ষ করে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদদের প্রথম সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী জানান, ভারত চিরকালই বিশ্বে গঠণমূলক ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাভ ও ক্ষতির ভিত্তিতে নয়, আমাদের বিদেশনীতি মাপা হয় মনুষ্য মূল্যবোধের আয়না দিয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, নাম না করে চিনের উদ্দেশ্যেই এই বার্তা দিয়েছেন মোদী। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক দৃঢ় করছে বেজিং।
বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর ফলে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল সহ ভারতের একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনের দিকে ঝুঁকতে পারে। এই সব দেশগুলিকে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নয়ন সহায়তা দিয়ে আসছে ভারত। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের পাল্লা হাল্কা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, মহাত্মা গাঁধীর অহিংসা দর্শন যে কোনও চরমপন্থা ও মৌলবাদের মোকাবিলা করতে সক্ষম। তিনি বলেন, কারও সম্পদকে শোষণ করা বা কারও ভূখণ্ডে নজর দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়। সম্পদ উন্নয়ন ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিই আমাদের লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার, ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়েছে চিনা সেনা। সিকিমের ডোকালাম হোক বা জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অথবা অরুণাচল প্রদেশ—বারবার চিনের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের। তথ্যাভিজ্ঞমহলের মতে, এদিন পরোক্ষভাবে চিনকে বার্তা দিলেন প্রধামনন্ত্রী।