কোকড়াঝাড়: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে অনুমোদিত হওযার পর  প্রথমবার অসম সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসমের বড়ো বহুল কোকড়াঝাড়ে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি 'ডান্ডা' মন্তব্য নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীকে ফের বিঁধলেন।  তিনি বলেন, 'কখনও কখনও কেউ কেউ ডান্ডা মারার কথা বলেন। কিন্তু যে মোদির এত বিপুলভাবে মা ও বোনেদের সুরক্ষাকবচ  মিলেছে, তাকে যতই ডান্ডা মারা হোক না কেন, তার কিছুই হবে না'।

গত বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্কে অংশ নিয়ে মোদি  রাহুল গাঁধীর ওই মন্তব্যের জন্য একহাত নেন। রাহুল সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভার ভোটের প্রচারে এসে বলেছিলেন, চাকরি না পেলে যুবসমাজ মোদিকে ডান্ডাপেটা করবেন। এই মন্তব্যের উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, পিঠ যাতে লাঠির আঘাত সহ্য করতে পারে, সেজন্য তিনি সূর্য নমস্কার (যোগাসন)-এর সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেবেন।

কোকড়াঝাড়ে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, সরকার আর উত্তর-পূর্বে হিংসা ফিরতে দেবে না।  বোড়ো চুক্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বোড়ো ল্যান্ড আন্দোলনে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন এবং মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন, তাঁদের সবাইকে স্বাগত জানাই। পাঁচ দশক পর বোড়ো ল্যান্ড আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের আশা ও আকাঙ্খাকে পূর্ণ ঐক্যের সঙ্গে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে’।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড (এনডিএফবি)-র চার গোষ্ঠীর সঙ্গে বোড়ো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মোদি বলেছেন, ২১ শতকের ভারত এটা নিশ্চিত হয়েছে যে, অতীতের সমস্যাগুলিকে আর টেনে নিয়ে চলা যাবে না।  এখন দেশ কঠিন সব সমস্যার সমাধান চায়। বোড়ো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল, অসম সরকার ও কেন্দ্র সরকার হাতে হাত মিলিয়ে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ ও ‘সবকা বিশ্বাস’কে নয়া মাত্রা দেবে। এতে অসম শক্তিশালী হবে এবং ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতে’র ধারণাও মজবুত হবে।