আহমেদাবাদ: আজ সৌরাষ্ট্রের ঘোঘা ও দক্ষিণ গুজরাতের দহেজের মধ্যে সমুদ্রপথে ফেরি পরিষেবার প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৬১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই ‘রোল অন রোল অফ’ ফেরি পরিষেবায়। একবারে ১০০টি গাড়ি, বাস বা ট্রাক এবং ২৫০ জন যাত্রীকে এপার থেকে ওপারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে এই ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে। এই ফেরি পরিষেবার ফলে সৌরাষ্ট্র ও সুরাতের মধ্যে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমবে।

সড়কপথে গুজরাতের ঘোঘা থেকে দহেজের দূরত্ব ৩১০ কিলোমিটার। যা অতিক্রম করতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সমুদ্রপথে সেই দূরত্ব কমে হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। যা অতিক্রম করতে মাত্র ৫০ মিনিট সময় লাগবে। ঘোঘা ও দহেজের মধ্যে আপাতত দিনে ২ থেকে ৩টি ফেরি চলবে। ফেরিতে ২৫০ জন করে যাত্রী সওয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৮-য় দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষে তা বেড়ে হবে ৫০০।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতীন পটেল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ফেরি পরিষেবা গুজরাতবাসীকে একটা অমূল্য উপহার। শুধু ভারতেই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই এই ধরনের প্রকল্প এই প্রথম। এর ফলে ব্যবসা বাড়বে এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন অনেক সহজ হবে এবং তাঁরা একে অপরের কাছে আসবেন। এই ফেরি পরিষেবায় রাজ্য সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।’

এই ফেরি পরিষেবাকে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু পূর্বতন ইউপিএ সরকার এই প্রকল্পে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।

চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার রাজ্য সফরে এলেন মোদী। সম্ভবত গুজরাত বিধানসভার নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে এটাই মোদীর শেষ সফর। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেলে চালু হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। তখন আর কোনও প্রকল্পের উদ্বোধন বা ঘোষণা করতে পারবে না সরকার। সেই কারণেই সম্ভবত ফেরি পরিষেবা ছাড়াও আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী ভাবনগর ডিস্ট্রিক্ট কোঅপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসারস ইউনিয়ন লিমিটেডের সর্বোত্তম গবাদি পশু খাবার প্রকল্প, ভডোডরায় জল প্রকল্পের উদ্বোধন এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন।