নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রীতিমতো টেক-স্যাভি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সড়গড় এমন প্রধানমন্ত্রী এর আগে পায়নি ভারত। নিজস্ব দক্ষতাতেই নিজের অনলাইন ব্র্যান্ড ইমেজ গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী চান, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এই পথই অনুসরন করুন।
কিন্তু সমস্যা হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ৪৭ শতাংশেরই গড় বয়স ৫৫। আর এটা তো দেখাই গেছে, প্রবীণরা সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে একটু পিছনেই রয়েছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্বটা বেশ ভালোমতোই বোঝেন প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি চাইছেন, এই প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হোন অন্যান্য মন্ত্রীরাও। জানা গেছে, কয়েকজন মন্ত্রী এই প্ল্যাটফর্মের উপযুক্ত ব্যবহার না করতে পারার বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদী। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের ফেসবুক ও ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শেখানোর ভার তিনি বিদ্যুত্ মন্ত্রী পিযূষ গোয়েল, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহকে দিয়েছেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি নীতি ও প্রকল্প প্রচারের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটা সক্রিয়, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জনগনের কাছে সরকারের সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রীদের এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সক্রিয় হতে বলেছেন বলে জানা গেছে।
অনেকেই মনে করেন, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচমে মোদীর জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার সচতুর ব্যবহার। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লক্ষ। ফেসবুক পেজে লাইক ৩ কোটি।
মানুষের অভাব-অভিযোগের নিষ্পত্তি, তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা কতটা দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন, তা জানতে গতমাসে একটি সমীক্ষাও করেছিল পিএমও।
‘মাস্টার’ রেখে মন্ত্রীদের ফেসবুক-টুইটারের পাঠ দিচ্ছেন মোদী
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
05 May 2016 07:56 AM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -