বিজাপুর: ছত্তিশঢ় সরকারের চটি বিতরণ কর্মসূচী এক আদিবাসী মহিলার পায়ে হাত দিয়ে চটি পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই নতুন ওই চটি মহিলাকে দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়ে মোদী ওই আদিবাসী মহিলার দিকে এগিয়ে গেলেন, ঝুঁকে বসে ওই মহিলাকে চটি পরতে সাহায্য করলেন। এভাবে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিলেন, তিনি ও তাঁর দল দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া সমাজের পাশেই রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণ উপস্থিত দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নিল। দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির অন্যতম ছত্তিশগঢ়ের বিজাপুরে এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও।


বিজেপি ওই ভিডিওটি ট্যুইটারে শেয়ার করে। ক্যাপশনে লেখা- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার দেখালেন, কেন তিনি প্রকৃত অর্থেই 'প্রধান সেবক'!



অন্য একটি ট্যুইটে বিজেপি বলেছে, মহিলাদের সম্মান প্রদর্শনের আরও একটা পথ।
তেন্ডুপাতা সংগ্রহকারী মহিলাদের জন্য এক দশকেরও বেশি আগে চটি বিতরণের কর্মসূচী নিয়েছিল ছত্তিশগঢ়ের বিজেপি সরকার। সরকারের এই কর্মসূচীতে যাঁরা চটি পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন ওই মহিলা।
এই প্রকল্প অনুযায়ী, তেন্ডুপাতা সংগ্রহকারী প্রতিটি পরিবারের একজনকে একজোড়া চপ্পল দেওয়া হয়। বছরে ৫০০ ব্যান্ডেল পাতা সংগ্রহ করতে পারলেই এই প্রকল্পের আওতায় আসে একটি পরিবার।
গতকাল ছত্তিশগঢ়ে বেশ কয়েক ঘন্টা ছিলেন মোদী। কথা বললেন কিশোরীদের সঙ্গে। তাদেরই মধ্যে একজন লক্ষ্মী। সে তার তৈরি করা একটি ড্রোনের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে। একইসঙ্গে সফট বল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বলেন, কে কল্পনা করতে পেরেছিল যে, বিজাপুরের একটি মেয়ে ড্রোন তৈরি করতে পারবে। মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ের এই অংশের খুদে ছেলে-মেয়েদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আদিবাসী অধ্যুষিত বিজাপুরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এলেন মোদী। এখানে তিনি স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচীর সূচনা করেন। একটি নতুন রেল লাইন এবং গুড়ুম ও ভানুপ্রতাপপুরের মধ্যে একটি যাত্রী ট্রেনের উদ্বোধন করেন তিনি।