নয়াদিল্লি: আজ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার এই অধিবেশন ২৫০তম অধিবেশন।এই উপলক্ষ্যে রাজ্যসভায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের সংসদীয় ব্যবস্থা রাজ্যসভার গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। মোদি বলেন, রাজ্যসভার দুটি বৈশিষ্ট্য-স্থায়িত্ব ও বৈচিত্র্য। স্থায়িত্ব এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ যে, লোকসভা ভেঙে যায়। কিন্তু রাজ্যসভা কখনও ভঙ্গ হয় না। বৈচিত্র্য এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ যে, এখানে রাজ্যগুলি প্রতিনিধিত্বই অগ্রাধিকার পায়।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত পাঁচ বছরে রাজ্যসভা তিন তালাক বিল পাস করে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে বড় কাজ করেছে। এই সভা সাধারণ শ্রেণীর দরিদ্রদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এতে ভেদাভেদ হয়নি। সবক্ষেত্রেই সহযোগিতার মনোভাবই বজায় থেকেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সভাই জিএসটি-র মাধ্যমে এক দেশ, এক করের ক্ষেত্রে সর্বসম্মতির ভিত্তিকে দেশকে  দিশা দেখানোর কাজ করেছে। দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারের সূচনা এই সভাতেই হয়েছিল। এরপর লোকসভায় তা অনুমোদিত হয়।

মোদি বলেছেন,  সংসদের উচ্চ কক্ষ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। ভোটে সবাই জিততে পারেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদের আমরা রাজ্যসভায় নিয়ে আসি।এই সব মহানুভবদের আমরা রাজ্যসভায় নিয়ে আসি।তাতে আমরা উপকৃতই হয়েছি।

অম্বেডকর লোকসভায় নয়, রাজ্যসভায় এসেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংসদ আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে পাল্টে দিয়েছে।সাংসদদের মধ্যে বসে তাঁদের কথা শোনাও একটা অভিজ্ঞতা।

তিনি বলেছেন, ভারত কল্যাণকারী রাষ্ট্র ও প্রতিটি রাজ্যের কল্যাণ আমাদের লক্ষ্য।কেন্দ্র ও রাজ্য মিলেমিশে চলাই আমাদের লক্ষ্য।একসঙ্গে চললেই দেশের প্রগতি সম্ভব।দেশ কোন পথে চলবে তা ঠিক হয় সংসদেই।

মোদি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০০৩-এ রাজ্যসভার ২০০ তম অধিবেশন হয়েছিল।

সেই সময় এনডিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল।তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী।

চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের কাজ করেছে রাজ্যসভা।

তিনি বলেছেন, ভারসাম্য করতে গিয়ে যেন কাজের ক্ষেত্রে বাধা না আসে।উচ্চৈঃস্বরে বিবাদ হোক, কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা না হয়।

এনসিপি-বিজেডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েলে কেউ যাবে না। মোদি এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন,  ওদের থেকে শিখতে হবে আমাদেরও।দু’দলকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।সাংসদরা যেমনভাবে চাইবেন, সেভাবেই কাজ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান প্রণেতারা যে ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন, তা কতটা উপযুক্ত, তা অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেছে। নিম্নকক্ষ যেখানে সরাসরি মানুষের সঙ্গে যুক্ত। তেমনি উচ্চকক্ষ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন।  দেশের উন্নয়ণের ক্ষেত্রে তাই দুটি কক্ষ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।