একটি সংবাদপত্রকে এই শিল্পপতিরা বলেছেন, এখন বিদেশে বসে নিজেদের ভারতীয় বলতে গর্ব বোধ হয়। মোদীকে বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী বলাই যায়। একমাত্র যেটা বলার, সেটা হল, তাঁর প্রশাসনকে দ্রুত বেগে, এমনকী শ্রী মোদীর প্রত্যাশার চেয়েও বেশি গতিতে কাজ করতে হবে। কারণ ওনার দৃষ্টিভঙ্গি দেশের পক্ষে খুবই ভাল, উপযোগী। নতুন, নতুন ভাবনা, ধারণা দেন উনি। প্রায় গোটা দুনিয়া চষে ফেলেছেন, সবার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া, সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বল বেসরকারি ক্ষেত্রের কোর্টে।এখন ছবিটা কীভাবে বদলায়, সেজন্য দেখার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে।
তাঁরা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ভারত বর্তমানে সারা বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বিনিয়োগস্থল। মার্কিন অর্থনীতি গতি হারিয়েছে, জিডিপি বৃদ্ধির হার মাত্র ১ শতাংশ। ব্রিটেনেও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থা খুব খারাপ। এশিয়ার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, চিনে জিডিপি বৃদ্ধির হার কীভাবে নীচের দিকে নামছে। ভারতীয় অর্থনীতির বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষমতায় সন্তোষ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখন প্রয়োজন অনিশ্চয়তার বাতাবরণ দূর করা, যেসব নীতি তৈরি হয়েছে, সেগুলি যথাযথ ভাবে কার্যকর করা।
হিন্দুজা ভাইদের আগে চলতি মাসের শুরুতে কানাডার ফেয়ারফ্যাক্স ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও প্রেম ওয়াত্সাও মোদীর প্রশংসায় মুখর হন। তিনি তো এ কথাও বলেন যে, মোদী পুনর্নিবাচিত হবেন বলে তাঁর আশা। ওয়াত্সা, যাঁকে কানাডার ওয়ারেন বাফেট বলেও মাঝেমধ্যে সুখ্যাতি করা হয়, এমনও বলেছেন, আমাদের বার্ষিক রিপোর্টেও এ কথা বলা হয়েছে। ভারতকে নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী, উচ্ছ্বসিত, কেননা মোদীকে ভারতের লি কুয়ান ইউ বলে মনে করি আমরা।
ওয়াত্সার মতে, খুবই পরিশ্রমী মানুষ মোদী। উনি একেবারে শীর্ষস্তরে দুর্নীতি নির্মূল করেছেন। আমার মতে, আরও বছরের পর বছর দারুণ কাজ করবেন উনি। আশা করি, উনি ফের নির্বাচিত হবেন, তারপর ভারতকে আমূল বদলে দেবেন।