নয়াদিল্লি: দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোম্পানি সেক্রেটারিদের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমার বর্তমানের লাভের জন্য দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঝুঁকি নেব না। সমালোচকরা গত দু’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র হার কমে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু তারা এটা বলছে না, ইউপিএ আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশ। সেটা বিজেপি সরকারের আমলে ২.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউপিএ সরকারের আমলে জিডিপি-র বৃদ্ধির হার আটবার ছিল ৫.৭ শতাংশ বা তার কম।’


সম্প্রতি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা মোদী সরকারের আর্থিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সহ কংগ্রেস নেতারা বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রের আর্থিক নীতির সমালোচনা করছেন। এ বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে জিডিপি-র হার ৫.৭ শতাংশ হওয়ায় সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সরকার আর্থিক পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে তৈরি। তাঁরা জানেন, আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এর জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবোধ করবে না সরকার।

ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একসময় ভারতের অর্থনীতি দুর্বল ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার গত তিন বছরে ভারতের অর্থনীতির উন্নতির হার সবচেয়ে দ্রুতগামী করে তুলেছে। সরকার দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। জিএসটি কাউন্সিলকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য আইন বদল করতে তৈরি। নোট বাতিলের পর কালো টাকা উদ্ধারের জন্য ২.১ লক্ষ সন্দেহজনক ভুয়ো সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।