গোয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সন্ত্রাস ইস্যুতে নাম না করে পাকিস্তানকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও আর্থিক উন্নয়নের বাধা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এর পথপ্রদর্শক দেশটি ভারতেরই প্রতিবেশী। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি মডিউলগুলি এই আতুঁড়ঘরের সঙ্গে জড়িত।
কূটনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদীদের মদত ও আর্থিক সাহায্যের অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। রবিবার ব্রিকস সম্মেলন থেকে এসব বন্ধেরও ডাক দেন নরেন্দ্র মোদী। এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রস্তাব, নাশকতা নির্মূল করতে হলে এককভাবে এবং ঐকবদ্ধভাবে লড়াই চালাতে হবে। মোদী বলেন, বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসকে হঠাতে হলে একযোগে আর্থিক সাহায্য, অস্ত্র সাহায্য, প্রশিক্ষণ ও রাজনৈতিক মদত বন্ধ করতে হবে। মোদীর মতে, এর মধ্যে কোনও একটি করে, অন্য পথ খোলা রাখলে, লাভের লাভ কিছুই হবে না। উল্টে আরও খারাপ হতে পারে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী আরও বলেন, ভারত বিশ্বাস করে, সন্ত্রাসবাদ ও তার সমর্থকদের শাস্তি দিতে হবে, পুরস্কার নয়। যে সব সংগঠন ও ব্যক্তি সন্ত্রাস হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে অপরাধীর মতোই আচরণ করা উচিত। তিনি মনে করেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হলে নাশকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে নামতে হবে। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের প্রেডিসেন্টের সামনেই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, ব্রিকসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
মোদীর এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত বাকি দেশগুলি। তবে পাকিস্তান যে বদলবার নয়, হাতেনাতে মিলেছে তার প্রমাণ। এদিন ফের জম্মু-কাশ্মীরের নৌশেরায় বিনাপ্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া এলাকায় গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা।