নয়াদিল্লি:  জীবনের বেশিরভাগটা কেটেছে আমেরিকায়। সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছেন নাসার মত প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু মহাত্মা গাঁধীর আপন নাতি, ৮৭ বছরের কানুভাই রামদাস গাঁধী আজ বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পেয়েছেন। কিছুদিন হল আমেরিকা থেকে ভারতে ফিরেছেন সস্ত্রীক কানুভাই। মাথা গোঁজার কোনও জায়গা জোটাতে না পেরে উঠেছেন দিল্লির এক বৃদ্ধাশ্রমে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হতে নড়েচড়ে বসে সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন ওঠে, এত দুর্দশার মধ্যে পড়তে হল কেন খোদ মহাত্মা গাঁধীর নাতিকে। এরপর রবিবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করে কানুভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, দুজনে গুজরাতিতে কথা বলেছেন, হালকা ফুরফুরে মেজাজে চলেছে কথাবার্তা। কানুভাই ও তাঁর স্ত্রীকে ঠিকমত দেখভালের জন্য প্রধানমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।




কানুভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মাও। আশ্বাস দিয়েছেন, সবরকম সরকারি সাহায্য করা হবে তাঁকে।
পরে কানুভাই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোদীর সমর্থক। আগে মোদী যখন গুজরাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন, তখন থেকে তাঁকে সমর্থন করেন তিনি। এই বৃদ্ধ বয়সেও তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান। উল্টে সনিয়া গাঁধীকে কানুভাই চিহ্নিত করেছেন তাঁদের দুজনেরই শত্রু বলে।
কানুভাইয়ের যখন ১৭ বছর বয়স, তখন নিহত হন মহাত্মা গাঁধী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পড়াশোনার জন্য তাঁকে আমেরিকা পাঠান। সেখানেই ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে তিনি পড়াশোনা করেন অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স নিয়ে। পরে কানুভাই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে যোগ দেন, কাজ করেন নাসাতেও। তাঁর স্ত্রী শিবলক্ষ্মীও অধ্যাপক ছিলেন, বস্টনে গবেষণা করতেন তিনি। সেই কানুভাই কীভাবে এমন কপর্দকশূন্য হয়ে পড়লেন তা এখনও বোধগম্য নয়। পাশাপাশি বোঝা যাচ্ছে না, খোদ গাঁধীর নাতির এমন দুরবস্থা সত্ত্বেও কংগ্রেসই বা কেন তাঁর সম্পর্কে কোনও উৎসাহ দেখাচ্ছে না।