মুম্বই: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির দুই প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির একের পর এক সম্পত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি চলছে। চোকসির গীতাঞ্জলি গোষ্ঠীর ৭টি সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, নীরবের সংস্থার ৪ কর্তাকে জেরা করছে সিবিআই।

এদিকে বোমা ফাটিয়েছেন পিএনবি কাণ্ডে গ্রেফতার ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টি। তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের গোপনতম পাসওয়ার্ড বেআইনিভাবে কবজা করে তা তিনি জানিয়ে দেন নীরব মোদীর সংস্থাকে। এর সাহায্যেই নাকি বার হয়েছে একের পর এক লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ও ফরেন লেটার অফ ক্রেডিট। ওই পাসওয়ার্ডের সাহায্যে অন্যান্য ব্যাঙ্ক থেকেও নীরব ও মেহুলের সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দেন তিনি।

গতকাল নীরব-মেহুলের একাধিক হিরে জহরতের বিপণীতে হানা দিয়ে ২২ কোটি টাকা অর্থমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ১১,৪০০ কোটি টাকার এই কেলেঙ্কারি নিয়ে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরী দেখা করেছেন পিএনবির বড়কর্তাদের সঙ্গে, অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইডির প্রধান কার্ণাল সিংহ চলে এসেছেন মুম্বইতে, যেভাবে পিএনবি কাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।

ইডি তদন্ত করছে কীভাবে ১১,৪০০ কোটি টাকার এই বিপুল তছরূপ ঘটল। আর সিবিআই দেখছে ব্যাঙ্কের নিয়মকানুনের পাশ কাটিয়ে কীভাবে জারি হল একের পর এক লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ও লেটার অফ ক্রেডিট। এ নিয়েই সিবিআই গতকাল ৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করছে মুকেশ অম্বানির খুড়তুতো ভাই ও নীরবের কোম্পানির সিএফও বিপুল অম্বানিকে। তিনি এক পদে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে থাকায় এই জালিয়াতি সম্পর্কে ভালমত ওয়াকিবহাল বলে সিবিআইয়ের ধারণা।