নয়াদিল্লি: সাড়ে ১১ হাজার পিএনবি প্রতারণাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে নিরপেক্ষ তদন্ত ও হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর প্রত্যর্পণের দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।


যার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এখনই তারা এই মামলায় কোনও মন্তব্য করবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ মার্চ।


এদিন সরকারি কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, তাঁরা এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই প্রেক্ষিতে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।


ওই জনস্বার্থ মামলায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় অর্থ ও আইনমন্ত্রককে পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেছিলেন মামলাকারী আইনজীবী বিনীত ধন্দা। সেখানে আবেদন করা হয়েছিল, আগামী ২ মাসের মধ্যে নীরব সহ অন্যান্য অভিযুক্তের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করতে কেন্দ্র নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।


বিনীতের আবেদন, এই প্রতারণার তদন্ত করতে যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। একইসঙ্গে, এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পিএনবি-র শীর্ষ আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক বলেও দাবি করেন তিনি।


ইতিমধ্যেই, নীরব মোদী, তাঁর মামা তথা গীতাঞ্চলি জেমসের কর্ণধার মেহুল চোকসি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি একটি, এবং কয়েকদিন আগে আরেকটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সবার বিরুদ্ধে পিএনবি-কে ১১,৪০০ কোটি টাকার প্রতারণা করায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।


বিনীতের আরও আবেদন, বড় পরিমাণ ঋণ অনুমোদের আগে নির্দিষ্ট শর্তাবলী তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হোক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে। তিনি বলেন, ঋণের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে, তা অনুমোদন করার আগে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক অর্থমন্ত্রক ও আরবিআই-কে।


আবেদনে বিনীত জানান, অদেয় ঋণশোধের মামলাগুলি খতিয়ে দেখতে একটি একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হোক। একইসঙ্গে, ঋণ-খেলাপিদের থেকে বকেয়া অর্থ ফেরত পেতে নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা হোক বলেও আবেদনে দাবি করেন তিনি।


এদিকে, শীর্ষ আদালতে আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন মনোহর লাল শর্মা। সেখানে তিনি জানান, সর্বোচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়েই যেন সিট গঠন করা হয়। তাঁর দাবি, এই ব্যাঙ্ক প্রতারণার ফলে সাধারণ জনতা এবং রাজকোষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে, তদন্ত এমন কাউকে দিয়ে করানো উচিত যিনি সরকার বা রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।