নয়াদিল্লি ও মুম্বই: অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ৫ দিন কেটেও গিয়েছে। কিন্তু, সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত মামা-ভাগ্নের টিকিও এখনও ছুঁতে পারেনি কোনও তদন্তকারী সংস্থা।


দেশজুড়ে তাঁদের সংস্থায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুম্বইয়ের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের যে ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে নীরব মোদী লেটার অফ আন্ডারটেকিং বের করেছিলেন, সেই শাখাও সিল করে দিয়েছে সিবিআই।


ওরলিতে নীরবের সমুদ্রমহল বাংলোতেও হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি, বিভিন্ন শহরে আরও ৩৪টি জায়গায় হানা দেয় তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে—পুণে, ঔরঙ্গবাদ, ঠাণে, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং সুরাত।


এখনও পর্যন্ত, নীবর ও মেহুলের অলঙ্কার বিপণীতে হানা দিয়ে প্রায় ৫,৭০০ কোটি টাকার হিরে ও স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন, তাঁদের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা।


ইডি-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, একাধিক কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক, পেন ড্রাইভ ও নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, নীরব ও মেহুলের বহু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও ক্রোক করতে শুরু করেছে ইডি।


এদিকে, ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তদন্তে নেমে নীরবের সংস্থা ফাইভ স্টার ডায়মন্ডের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বিপুল অম্বানিকে জেরা করছে সিবিআই। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে বিপুল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গত ৩-৪ বছর ধরে বিপুল এই পদে রয়েছেন।


এর পাশাপাশি, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ২ আধিকারিক ও নীরব মোদীর সংস্থার এক স্বাক্ষরকারীকে জেরা করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ব্যাঙ্কের জেনারেলব ম্যানেজার পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ আরও ৫ জনকে।


তদন্তে নেমেছে আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ভিজিলেন্স কমিশনও।  এদিনই পিএনবি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন।


সূত্রের খবর, নীরব মোদী কেলেঙ্কারিতে পিএনবি-র তৎকালীন ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টি গ্রেফতারের পর নজরে ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তারাও।


ইতিমধ্যেই ধৃতের সার্ভিস ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কীভাবে ৮ বছর ধরে ওই ডেপুটি ম্যানেজার একই শাখায় একই পদে ছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পাশাপাশি, পিএনবি কেলেঙ্কারির পর, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ৩ বছরের বেশি একই শাখায় থাকা কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন।