নয়াদিল্লি: পিএনবি-প্রতারণা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ওয়াকিবহাল হতে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিবকে আগামী ১ মার্চ তলব করল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর ও কাস্টমসের শীর্ষ আধিকারিকদের।


জানা গিয়েছে, পিএনবি প্রতারণা নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি, সোনা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ২০১৩ সালে যে নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেই নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের থেকে মতামতও নেওয়া হবে। কমিটি জানতে চাইবে, ওই প্রকল্পের অপব্যবহার নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি করেছেন কি না।


প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে সোনা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ৮০:২০ নিয়ম চালু করছিল তৎকালীন সরকার। সেই অনুযায়ী, মোট আমদানি হওয়া সোনার মধ্যে ২০ শতাংশ বিদেশে রফতানি করতে পারতেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৪ সালে, ওই নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


পিএনবি-কে ১১,৪০০ কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জাল লেটার অউ আন্ডারটেকিং(এলওইউ) নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন এই দুজন।


পিএনবি এই তথ্য প্রকাশের আগেই, দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন প্রতারণাকাণ্ডের কিংপিন নীরব ও তাঁর মামা মেহুল। ইতিমধ্যেই এই প্রতারণার তদন্তে নেমেছে ইডি, সিবিআই, এসএফআইও ও আয়কর দফতর।


এদিকে, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসিকে দেওয়া ২৯৩টি ভুয়ো লেটার অফ আন্ডারটেকিং (এলওইউ)-এর ভিত্তিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন পাঠানোর জন্য পাঁচটি ব্যাঙ্কের মুখ্য ভিজিলেন্স অফিসার (সিভিও)-কে নির্দেশ দিল সিবিআই।


নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হল সেই অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাঙ্ক আরেকটি ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখায় খোলে। মূলত, নিজেদের গ্রাহকদের বিদেশি বিনিয়োগে সহায়তা করতে।


এদিন যে ব্যাঙ্কগুলির কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, সেগুলি হল—কানারা ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখা। ব্যাঙ্কের শাখাগুলি রয়েছে—অ্যান্টওয়ার্প, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, মরিশাস, হংকং এবং বাহরিনে।