নয়াদিল্লি: দু মাসের মধ্যে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও বাকিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ১১০০০ কোটি টাকার বেশি এই জালিয়াতির তদন্ত করতে হবে সিট গঠন করে। এইসব দাবিতে পেশ হওয়া আবেদনের আগামীকাল শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী জে পি ধান্দার জনস্বার্থ পিটিশনে বলা হয়েছে, এই জালিয়াতি বিরাট মাত্রার, তাই দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। সেই বক্তব্য গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ রোস্টার অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি উপযুক্ত বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দেয়। সকালে অবশ্য শুক্রবার আবেদনের শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল।
জনস্বার্থ আবেদনে পিএনবি-র সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা তদন্ত করে দেখতেও বলা হয়েছে। আবেদনকারী বলেছেন, বড় অঙ্কের লোন মঞ্জুর ও সেই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে নির্দেশ দিতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে। ১০ কোটি টাকা বা তার ওপর লোন অনুমোদনের বেলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অর্থমন্ত্রককে স্পষ্ট নিয়মকানুন তৈরি করতে বলা হোক যাতে এমন বিরাট অঙ্কের ঋণ পুনরুদ্ধারের গ্যারান্টি থাকে। এজন্য লিখিত বা মৌখিক নির্দেশ জারি করতে হবে।
পিটিশনে আবেদনকারী পিএনবি, আরবিআই ও কেন্দ্রীয় অর্থ, আইন ও ন্যায়মন্ত্রককে পার্টি করেছেন।
দেশে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ত্রুটির ফলে ঋণ ফাঁকির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন আবেদনকারী। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ঋণ বাকি রাখা লোকজনের কাছ থেকে সেই টাকা পুনরুদ্ধারে নিয়মকানুন তৈরির দাবি করেছেন পিটিশনার। তাঁর প্রস্তাব, এক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া লোকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে খোলা বাজারে নিলাম করা যেতে পারে।
আবেদনকারীর বক্তব্য, বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক লোন মঞ্জুর করলে সেখানকার কর্মীদের ওপর যাতে তার দায় বর্তায়, সেই ব্যবস্থা রাখা হোক। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককর্মীরা অবসর নেওয়ার পরও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অনাদায়ী লোন পুনরুদ্ধার করা হোক। পিএনবি জালিয়াতির ফলে আমজনতা ও সরকারি কোষাগারের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে সিট গড়ে তদন্ত দাবি করে আরেকটি পিটিশন দিয়েছেন এম এল সিনহা নামে আরেক আইনজীবী।