নয়াদিল্লি: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সঙ্গত ভাবেই পাকিস্তানের, বললেন ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য।
চিন, পাকিস্তান ও ভারত, তিন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তাকে ঘিরে রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে 'স্বাধীন' কাশ্মীরের দাবিটি 'ভুল'বলে উড়িয়ে দেন ফারুক। দিনকয়েক আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসিও 'স্বাধীন কাশ্মীরের' দাবি 'বাস্তবসম্মত' নয় বলেন। আর ফারুক বলেন, কাশ্মীরের স্বাধীনতা বলে কিছু হয় না। আমাদের একদিকে ঘিরে রয়েছে চিন, আরেক দিকে পাকিস্তান, তিন নম্বর দিকে ঘিরে রেখেছে ভারত। তিনজনের কাছেই পরমাণু বোমা আছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বাধীনতার কথা বলছে, তারা ভুল করছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহিরের পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের জায়গা, এই মন্তব্যের জবাবে ফারুক তত্কালীন ভারত সরকারের সঙ্গে মহারাজা হরি সিংহের সংযুক্তিকরণের চুক্তি বা ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাকসেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওটার কথা ভুলে গিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের ওপারের কথা বলা হচ্ছে। ওই অংশটা আমাদের হলে তো সংযুক্তিকরণের কথাও বলতে হবে। যেসব শর্তে আমরা মিশে গিয়েছি, সেগুলি ভুলে গেলে কী করে চলবে? সোজা কথায় আমি শুধু ভারতের জনগণ নয়, গোটা দুনিয়াকে বলি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের আর কাশ্মীরের এদিকটা ভারতের। এ নিয়ে যত যুদ্ধই হোক, এর বদল হবে না। আর এই যখন পরিস্থিতি, তখন ওদের মধ্যে আলোচনা চাই, যাতে শান্তি থাকে দুদিকেই। আর এজন্য দুদিকেই স্বশাসন দেওয়া আবশ্যিক।
কেন্দ্রের দূত দীনেশ্বর শর্মার ভূমিকা নিয়ে মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না। উনি আলোচনায় নেমেছেন, তবে শুধু আলোচনা কোনও সমাধান নয়। সমস্যাটা ভারত, পাকিস্তানকে নিয়ে। ভারত সরকারের পাক সরকারের সঙ্গে কথা বলা উচিত কারণ কাশ্মীরের একটা অংশ ওখানে।
এদিকে ফারুকের মত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, ৪০ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর স্বশাসনের দাবি তোলা বন্ধ করে দেন উনি। এখন ক্ষমতায় যখন নেই, তখন তিনি এ ধরনের কথা বলছেন ছিটেফোঁটা ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের যুবসমাজ বুদ্ধিমান। তারা এ থেকে যা বোঝার বুঝে নেবেন।