শ্রীনগর: পরিস্থিতি অশান্ত থাকায় রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাকে সাময়িক স্থগিত রাখতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
পুলিশের আশঙ্কা, অনলাইন ভিডওর মাধ্যমে রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ ছড়িয়ে দেওয়া এবং নিরাপত্তাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে উপত্যকায় ৩-জি ও ৪-জি পরিষেবা বন্ধ রাখতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, একাধিক বিতর্কিত ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হওয়ায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অভিযোগ, কোনও ভিডিওতে দেখানো হয়েছে সদ্যসমাপ্ত শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন চলাকালীন মধ্য কাশ্মীরের বাদগাম জেলায় এক ব্যক্তিকে জিপের সামনে বেঁধে বিক্ষোভকারীদের পাথর-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সেনা জওয়ানরা।
আরও অভিযোগ, অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে গান-পয়েন্টে হুমকি দিচ্ছে জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এইসব ভিডিওর মাধ্যমে জনমানসে ভীতি সঞ্চার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, উপ-নির্বাচনের পর গত ১৩ তারিখে রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়।
এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ছাত্র সংঘর্ষে ফের এদিন রণক্ষেত্র ছিল কাশ্মীর। আজ ক্লাস বয়কটের ডাক দেন একাধিক কলেজের পড়ুয়ারা। সকালে লাল চকের কাছে মৌলানা আজাদ রোডে পড়ুয়াদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শনিবার পুলওয়ামা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রদের মারধর করেছিল নিরাপত্তা রক্ষীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ আন্দোলনে নামে একাধিক কলেজের পড়ুয়ারা। তবে শুধু লালচকই নয় এদিন সোপিয়ান, বারামুল্লা, পুলওয়ামা সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন ছাত্র।