নয়াদিল্লি: বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নিজেই গ্রেফতার হয়েছেন ৪০ বছরের এক মহিলা। মধু-চক্রে ফাঁসিয়ে সাংসদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে পুলিশ দিল্লি পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।এবার ওই মহিলার ইন্দিরাপুরমের আবাসনে হানা দিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার বাড়ি থেকে কয়েকটি ভিডিও ও অন্যান্য ‘অকাট্য তথ্যপ্রমাণ’ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

নয়াদিল্লি রেঞ্জের পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার মুকেশ কুমার মীনা বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা সাধারণত হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতেন। অতীতেও ওই মহিলা কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মুজফফরনগরে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।ওই দলটি মহিলার আইনের ডিগ্রি আসল কিনা, তাও খতিয়ে দেখবে।

ওই মহিলা গত বছর তিলক মার্গ থানায় অন্য এক সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২০১৪-তে তিনি সফদরজং এনক্লেভ থানায় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা হরক সিং রাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই সময় হরক রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

হরকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পরে বয়ান বদলে ফেলেছিলেন ওই মহিলা।

পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ওই মহিলা জেরায় তাদের প্রতারণা চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। চক্রের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয়ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

গুজরাতের ভালসাদের বিজেপি সাংসদ কেসি পটেল গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, ওই মহিলা তাঁকে মাদক খাইয়ে তাঁর অশ্লীল ছবি তুলেছেন।

এর আগে ওই মহিলা দিল্লির একটি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশ সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেছে।

ওই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, সাংসদ তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অন্যদিকে পটেল দাবি করেন, তাঁর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন ওই মহিলা।

পুলিশের তদন্ত অনুসারে, ওই মহিলা তাঁর বাড়িতে গোপন ক্যামেরা ও সিসিটিভি ক্যামেরা রেখেছিলেন। ওই মহিলার ব্যাগে সর্বদাই একটি স্পাই ক্যামেরা থাকত।