জয়পুর: ট্রাকে বেআইনি গরু পাচারের অভিযোগে দুবছর আগে গণপিটুনিতে নিহত পেহলু খানের দুই ছেলের বিরুদ্ধে গরু পাচার মামলায় আরও তদন্ত করে দেখার জন্য আলোয়ারের আদালতের অনুমতি চেয়েছে রাজস্থান পুলিশ। গরু পাচার মামলায় পেহলুর দুই ছেলে ইরশাদ খান (২৫), আরিফ খান (২২) ও ট্রাকচালক খান মহম্মদের বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জশিট পেশ করায় এক পক্ষকাল আগে তীব্র সমালোচনা হয় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের, যার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত। তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকারে থাকার সময় রুজু হওয়া মামলার নানা দিক নতুন করে খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ।
আলোয়ারের পুলিশ সুপার অনিল পারিস দেশমুখ মঙ্গলবার বলেন, গরু চোরাচালান মামলার আরও তদন্তের অনুমতি চেয়ে শনিবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। কয়েকটি বিষয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। ওঁর ছেলেরা বলেছে, তারা আলোয়ারের তাপুকারায় পশুগুলি বিক্রি করতে যাচ্ছিল আর ট্রাকচালক মহম্মদের দাবি, সে ঘটনাটি ঘটার আগে ট্রাকটি একজনকে বেচে দিয়েছিল। আগে পুলিশ বলেছিল, পশুগুলিকে হরিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আর ট্রাকটি তার নয় প্রমাণ হলে মহম্মদ অভিযোগ থেকে অব্যহতি পেতে পারে।
পুলিশ বলেছে, রাজস্থান গবাদি পশু (সাময়িক জায়গা বদল বা বাইরে পাচার) রোধ আইনে তিনজন অভিযুক্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে বলে পেহলুর নাম চার্জশিট থেকে বাদ পড়েছে।
২০১৭-র ১ এপ্রিল গরু পাচারকারী সন্দেহে পেহলু ও তাঁর ছেলেদের মারধর করে একদল লোক। ৩ এপ্রিল আলোয়ারের হাসপাতালে মৃত্যু হয় পেহলুর। তারা জয়পুর থেকে হরিয়ানার নুহ জেলার দিকে যাচ্ছিল। জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কের ওপর তাদের দুটি গাড়ি থামিয়ে নিগ্রহ করে গোরক্ষকরা। পেহলু, তাঁর সঙ্গীদের গণপিটুনিতে যুক্ত অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজস্থান পুলিশ। ৬ জনের নাম ছিল এফআইআরে। তাতে প্রায় ২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথাও ছিল।
রাজস্থান গবাদি পশু আইনে আলাদা মামলা রুজু হয় পেহলু ও বাকিদের বিরুদ্ধেও। ওই আইনে একমাত্র প্রশাসনের অনুমতি থাকলেই গরু এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়।