পানাজি: কর্নাটকের পর গোয়া! টানটান রাজনৈতিক নাটকের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়েছে সেখানে। কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের ভবিষ্যত্ ঘিরে প্রবল অনিশ্চয়তা, জল্পনার মধ্যেই গোয়ায় কংগ্রেস শিবির ভাঙছে বলে খবর। ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়কের মধ্যে ১০ জনই আজ আচমকা বিধানসভার স্পিকার রাজেশ পাটনেকরের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের স্পিকারের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তাঁরা নাকি তাঁকে একটি চিঠি দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এই দলে বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরও রয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়করা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার পরই বিধানসভায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। একটি সূত্রের দাবি, ১০ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। আর সাবন্ত ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কংগ্রেস ভেঙে ওই ১০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গোয়া বিধানসভায় বিজেপির ১৭, কংগ্রেসের ১৫, জিপিএফের ৩, এমজিপির ১, এনসিপি ও নির্দল বিধায়ক সংখ্যা ২ জন করে।


২০১৭-য় গোয়ায় কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হয়। ১০ জন শাসক শিবিরে চলে গেলে তাদের শক্তি কমে হবে ৫। দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কই দল ভেঙে বেরলে তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার দরকার হবে না।

বাবু কাভালেকর, বাবুশ মনসেরাত্তে, তাঁর স্ত্রী জেনিফার মনসেরাত্তে, টনি ফার্নান্ডেজ, ফ্রান্সিস সিলভিয়েরা, ফিলিপে নেরি রডরিগস, ক্লাফিয়াসো, উইলফ্রেড ডে সা, নিলকান্ত হালাঙ্কর, ইসিডোর ফার্নান্ডেজ-এই ১০ জনের যোগদানের পর বিজেপির শক্তি বেড়ে গেলে বিজেপির সরকার বহাল রাখতে শরিকদের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। এমন জল্পনাও রয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী সাবন্ত উপ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই সহ গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির মন্ত্রীদের বসিয়ে দেবেন।

প্রসঙ্গত, সাবন্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পান গত  মার্চে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর।