লখনউ: উত্তরপ্রদেশের কৈরানা থেকে দলে দলে হিন্দুদের চলে যাওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের চরম সময়সীমা দিলেন বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম। তাঁর দাবি, ১৫ দিনের মধ্যে কৈরানা ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

 

সঙ্গীত কয়েক হাজার সঙ্গীকে নিয়ে সারধানায় নিজের বাড়ি থেকে কৈরানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সমাজবাদী পার্টি নেতা অতুল প্রধানও মিছিল করেন। কিন্তু পুলিশ কৈরানার সীমান্ত সিল করে দেয়। শামলি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের নিযুক্ত করা হয়। শামলির জেলা শাসক সুজিত কুমার বলেন, কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

 

এরপরেই কৈরানা যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি কৈরানা ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা না হয়, তাহলে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। তখন কেউ বিজেপি কর্মীদের কৈরানা বা অন্য কোনও জায়গায় যাওয়া আটকাতে পারবে না।

 

এই হুঁশিয়ারির পাল্টা হিসেবে বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে তোপ দেগেছে সপা। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শিবপাল যাদবের দাবি, ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। কৈরানা বা রাজ্যের অন্য কোনও জায়গা থেকে কেউ পালাচ্ছেন না।

 

পাঁচ জন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন শিবপাল। তিনি চান, এই কমিটি কৈরানা গিয়ে আসল ঘটনা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিক।

 

কংগ্রেস, সিপিএম, বসপা-ও বিজেপি-র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ মাথুর বলেছেন, দলের জেলা ও শহরের নেতারা জানিয়েছেন, কৈরানা ছেড়ে কেউ অন্য কোথাও যাননি। বিজেপি কর্মীরা শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছে।

 

বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীর দাবি, বিজেপি ও সপা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে মিছিল করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থে দু দল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছে।

 

সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, দুই সম্প্রদায়েরই কিছু মানুষ অর্থনৈতিক-সামাজিক কারণে কৈরানা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু হিন্দুদের পালানোর কথা বলার জন্য বিজেপি-র ক্ষমা চাওয়া উচিত।