সিএসআইআর এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিম্ন ও মধ্য উপার্জন করা দেশের জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত অসুখকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় এমনিতেই। পরিবেশের কারণে বেঁচে থাকার জন্য শরীরে তৈরি হয় অনাক্রমতা। একে 'ইমিউন ট্রেনিং' বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 'ইমিউন ট্রেনিং' এর অর্থ, শরীরে নিজে থেকেই রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি করা। মেড্রিক্সে প্রকাশিত একটি খবরে এই থিওরিকে 'হাইজিন হাইপোথিসিস' বলা হয়েছে।
ডঃ শিখর মাণ্ডে বলছেন, যে সমস্ত দেশগুলিতে জনসংখ্যা কম ও তুলনামূলকভাবে পরিস্কার, সেখানে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকে মানুষের। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি করে না। জিডিপি তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে যে সমস্ত দেশগুলি তুলনামূলকভাবে অপরিস্কার, সেখানে মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভাল। এমনকি কোভিডে মৃত্যুর হারও সেখামে কম বলে দাবি চিকিৎসকদের।
১০৬টি দেশের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কোভিডের সঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না এমন রোগ যেমন ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ থাকলে সেক্ষেত্রে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। ম্যালেরিয়া বা যক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রামক ব্যাধির পাশাপাশি স্কিস্টোসোমায়িসিসের এলডিএমের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।