'অবাঞ্ছিত', ভারতীয়রা অবশ্যই গণতন্ত্রে নিজেদের জোরে ভোটে লড়তে জানেন, মোদীর অভিযোগের পাল্টা পাকিস্তানের কটাক্ষ খারিজ প্রসাদের
Web Desk, ABP Ananda | 11 Dec 2017 03:09 PM (IST)
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে পাকিস্তানের বক্তব্য খারিজ করে দিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। গতকাল এক জনসভায় গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নাক গলানোর অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেন, কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়া মণিশঙ্কর আয়ার যেদিন তাঁকে 'নীচ' বলেছিলেন, তার আগের রাতে তাঁর বাড়িতে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানি হাই কমিশনার, এক প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী, ভারতের এক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ও ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং সেখানে আলোচনা হয় গুজরাত ভোট নিয়ে। জবাবে পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল আজ ট্যুইট করেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী বিতর্কে পাকিস্তানকে টেনে আনা বন্ধ হোক। সাজানো ষড়যন্ত্রের ভিত্তিহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ নয়, নিজেদের ক্ষমতার জোরে ভোটে জিতুন ভারতের নেতারা। পাল্টা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানকে ভারতের নির্বাচনে জড়ানোর নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রক থেকে বেশ অদ্ভূত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতীয়রা নিজেদের ক্ষমতায় ভোটে জিততে শিখুন। পাকিস্তানকে বলতে চাই, ভারতীয়রা অবশ্যই গণতন্ত্রে নিজেদের জোরে ভোটে লড়তে জানেন, লড়েনও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বহু মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন, বিজেপিও। ভারত নিজের ঘরোয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে কোনও বাইরের হস্তক্ষেপের সম্পূর্ণ বিরোধী। ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোয় পাকিস্তানের ভূমিকার কথা গোটা দুনিয়া জানে। দয়া করে আমাদের উপদেশ দেওয়া বন্ধ করুন, আমরা ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে গর্বিত। আমরা ভারতের গণতন্ত্রেরই ফসল, পাকিস্তানের এহেন অবাঞ্ছিত বক্তব্যের পূর্ণ বিরোধিতা করছি। প্রসাদ বলেন, কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা আয়ারের বাড়িতে এমন কোনও বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন। আর আজকের সংবাদপত্রের রিপোর্টে পরিষ্কার, কারা সেই বৈঠকে ছিলেন। পাকিস্তান থেকে লোকজন ছিলেন, এমনকী গেট টুগেদারে ছিলেন মনমোহন সিংহও। তবে এমন কোনও বৈঠক হয়ইনি বলে কেন মিথ্যা বিবৃতি দিলেন আনন্দ শর্মা। তাহলে কার ক্ষমা চাওয়া উচিত? কিন্তু খেয়াল করুন, অভিযোগ উঠতেই সরকারি বিবৃতি দিল পাকিস্তান। কংগ্রেসকে বাঁচাতে মাঠে নামল? এমন সন্দেহ কি হবে না? অবশ্যই দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন।