রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে তিন তালাক বিরোধী বিল সমর্থন করুন, সনিয়া-মমতা-মায়াবতীকে আবেদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
18 Jun 2018 08:29 PM (IST)
নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ওপরে উঠে রাজ্যসভায় আটকে যাওয়া একতরফা তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করাতে বিরোধী শিবিরের মহিলা রাজনীতিকদের আবেদন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। জানুয়ারি থেকে সংসদের ঊর্ধ্বকক্ষে থমকে যাওয়া বিলের পরিণতি কী হতে চলেছে, জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্র তিন তালাক বিরোধী আইন চালু করতে দায়বদ্ধ বলে জানিয়ে দেন তিনি। তারপরই বলেন, আমি সনিয়া গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতীকে বলছি, তিন তালাকের মতো ইস্যুতে আমাদের রাজনৈতিক মতবিরোধের উর্ধ্বে ওঠা দরকার। ওঁরা তিনজনই প্রভাবশালী মহিলা। তিনি বলেন, মোদী সরকারের কাছে বিলটি লিঙ্গ সমতা ও ন্যায়বিচারের বিষয়।
গত ডিসেম্বরেই বিলটি পাশ হয়েছে লোকসভায়। রাজ্যসভায় শাসক জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সেটি আটকে রয়েছে। রিভিউয়ের জন্য বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হতে পারে।
শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক মতৈক্য না হলে অর্ডিন্যান্স এনে তাত্ক্ষনিক তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ বলে ঘোষণা করা হবে কিনা, প্রশ্ন করা হলে অবশ্য জবাব এড়িয়ে যান প্রসাদ।
বিলে তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি বলা হয়েছে, এই কুপ্রথার সাজা স্ত্রীকে তালাক দেওয়া স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস। মুসলিম মহিলা (বিবাহ সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা) বিলে তিন তালাকের শিকার মহিলাকে নিজের ও নাবালক সন্তানদের ভরণপোষণ চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্তানের অধিকারও দাবি করতে পারবেন। প্রস্তাবিত আইনে মুখে উচ্চারণ, লিখিত ভাবে বা ইমেল, এসএমএস, হোয়াটস অ্যাপের মতো যে কোনও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তাত্ক্ষনির তিন তালাককে বেআইনি, অসার বলা হয়েছে।
মহিলাদের একাংশের এই বিলের বিরোধিতার পিছনে কোনও মহলের 'পৃষ্ঠপোষকতা' রয়েছে কিনা, সেই সংশয়ও প্রকাশ করেন তিনি। বহু মহিলা তাঁর কাছে বিলটি সমর্থন করেছেন বলে দাবি করেন প্রসাদ।
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -