নয়াদিল্লি: আরুষি হত্যা মামলায় নিহতের বাবা-মাকে বেকসুর খালাস করার রায় দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, ঘটনার দিন তলোয়ারদের নয়ডার বাড়িতে পরিচারক হেমরাজকে বাদ দিয়ে বহিরাগতদের উপস্থিতির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট নথি ও সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে বিচারপতি বি কে নারায়ণ ও বিচারপতি এ কে মিশ্রর বেঞ্চ জানায়, আরুষির বাবা-মা যে এই হত্যা করেছেন, বাদীপক্ষের এই অবস্থান পুরোপুরি ভ্রান্ত।
আদালতের মতে, ঘটনার রাতে তলোয়ারদের বাড়িতে হেমরাজকে বাদ দিয়ে অন্য বহিরাগতদের উপস্থিতির বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর সেই বিকল্প তত্ত্বের যে স্পষ্ট ও বিশ্বস্ত প্রমাণ রয়েছে, তা রাজেশ ও নূপুরের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছে।
বিচারপতিরা আরও জানান, পুলিশ জানিয়েছে, আরুষির মৃতদেহ যেদিন সকালে উদ্ধার করা হয়, সেই সময় হেমরাজের মোবাইল ফোনটি সক্রিয় ছিল। টাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছিল পঞ্জাব। যদিও, পুলিশ সেই ফোনের হদিস পায়নি। কিন্তু, এই বিষয়টিই পরিষ্কার করে দিচ্ছে, কেউ সেদিন রাতে জোড়া হত্যালীলা চালিয়ে হেমরাজের ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এখানেই তো শেষ নয়। তলোয়ারদের ল্যান্ডলাইন থেকে হেমরাজের মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কেউ একজন তাতে সাড়া দেয়। এই সব প্রমাণই বলে দিচ্ছে, এই কাণ্ডের নেপথ্যে বহিরাগতের থাকার সম্ভাবনা প্রবল।