বর্তমান যুগে মেয়েদের কোনও একটি বিশেষ পেশায় আবদ্ধ থাকতে দেখা যায় না। এখন দমকলবাহিনী থেকে পোকার প্লেয়ার, প্যারা ট্রুপার থেকে রেলের পোর্টার, শ্মশানের ম্যানেজার থেকে বারটেন্ডার, ট্যাক্সিচালক, বাস কন্ডাক্টর, সব পেশাতেই বিরাজমান প্রমিলাবাহিনী। অথচ কয়েকবছর আগেও, এই পেশাগুলো একেবারেই পুরুষদের একচেটিয়া শাসনে ছিল।
এই সম্মান প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রী মানেকা গাঁধী জানিয়েছেন, গত দুবছর ধরে তাঁরা বিভিন্ন মহিলাদের সম্মানিত করেছেন, যাঁরা বহু বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। এরকম একশো মহিলাকে সারা দেশ থেকে গত দুবছরে বাছাই করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁরা সেই সমস্ত মহিলাদের সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাঁরা পুরুষ-শাসিত কাজেও নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। এবার তাঁদেরই সম্মান জানানোর পালা।
এবারের তালিকায় রয়েছেন ইরা সিঙঘ্ল, যিনি শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সক্ষম না হয়েও সিভিল সার্ভিসে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন, রয়েছেন পুনীতা আরোরা, যিনি হলেন প্রথম মহিলা লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রিয়া ঝিনগান হলেন প্রথম মহিলা ক্যাডেট যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। রাধিকা মেনন, প্রথম মহিলা যিনি মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন হয়েছেন এবং হর্ষিনি কানহেকার হলেন প্রথম মহিলা ফায়ার ফাইটার।
একশো জনের এই তালিকায় রয়েছেন সেই সমস্ত মহিলারাও, যারা একটু অন্যরকমের পেশাকে নিজেদের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যেমন চেন্নাইয়ের প্রবীনা সলোমন। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি শ্মশানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। রাজস্থানের মঞ্জু, হলেন প্রথম মহিলা যিনি রেল স্টেশনে পোর্টারের কাজ করেন। মুসকান শেট্টি হলেন প্রফেশনাল পোকার প্লেয়ার এবং স্বাতভী বসু হলেন প্রথম মহিলা বারটেন্ডার।
এছাড়া তালিকায় রয়েছেন অদিতি পান্থ, প্রথম মহিলা যিনি অ্যান্টার্কটিকা পৌঁছেছেন, সীমা রাও, প্রথম মহিলা কম্যান্ডো প্রশিক্ষক, সোনালিনী মেনন, দেশের প্রথম মহিলা কফি টেস্টারকেও রাখা হয়েছে তালিকায়।