নয়াদিল্লি: মনোনয়নপত্র পেশ করলেন রামনাথ কোবিন্দ। সেইসঙ্গে বিরোধীদেরও বার্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদটি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে বলেও মন্তব্য করেছেন এনডিএ পদপ্রার্থী।

৭১ বছর বয়সি দলিত কোবিন্দ বিহারের রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন সম্প্রতি। ১৭ জুলাইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য তিনি মনোনয়ন পেশ করতে গেলে তাঁর সঙ্গী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বেশ কয়েকটি এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে বাছাই করে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে কেন্দ্রের শাসক জোট। শক্তির বিচারে এমনিতেই এগিয়ে রয়েছেন কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ইলেকটোরাল কলেজের ৪৮.৬ শতাংশের বেশি ভোট রয়েছে এনডিএ-র। পাশাপাশি জোটের বাইরে এআইএডিএমকে, বিজেডি, টিআরএস, নীতীশকুমারের জেডি (ইউ)-ও কোবিন্দকে ভোট দেবে বলে জানিয়েছে। সব মিলিয়ে অঘটন কিছু না হলে ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া প্রায় নিশ্চিত তাঁর।

এদিন মনোনয়ন পেশ করে বিরোধীদের প্রতিই সম্ভবত বার্তা দিতে চেয়ে তিনি বলেন, বলেন, ২০১৫ সালে বিহারের রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। রাষ্ট্রপতির পদটিও দলীয় রাজনীতির ওপরে। যাঁরা আমায় সমর্থন করছেন, তাঁদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

রাষ্ট্রপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের মর্যাদা রক্ষায় আমি সদা সচেষ্ট থাকব বলেও মন্তব্য করেন কোবিন্দ।

জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গও ছুঁয়ে যান তিনি। বলেন, রাষ্ট্রপতি তিনটি বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।

কোবিন্দের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলিমনোহর জোশীর মতো প্রবীণ বিজেপি নেতারা। গোয়ার মনোহর পর্রীকর, জম্মু ও কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতি বাদে বাকি এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও দেখা যায়। ছিলেন এনডিএ-র বাইরের দুই মুখ্যমন্ত্রী তেলঙ্গানার টি আর এস চন্দ্রশেখর, তামিলনাড়ুর এডাপাড্ডি কে পালানিস্বামীও।