নয়াদিল্লি: সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক সেবন ও পাচার বৃদ্ধির নেপথ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো ফ্যাক্টর দায়ী। এমনটাই মনে করেন রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতির মতে, এর মোকাবিলা করতে হলে পঞ্জাব ও মণিপুরের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে আরও নজরদারি প্রয়োজন।
কোবিন্দের দাবি, ভারতের ভৌগলিক অবস্থানের ফলে এই সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছে রাজ্যে। তিনি জানান, মায়ানমার-লাওস-তাইল্যান্ডের ‘সোনালী ত্রিভূজ’ এবং ইরান-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ‘সোনালী ক্রিসেন্ট’-এর ফলে ভারতে মাদক সেবন ও পাচারের সমস্যা আরও গভীর ও জটিল।
মঙ্গলবার আন্তর্জতিক মাদক-বিরোধী দিবস। এই উপলক্ষ্যে এদিন মদ ও মাদক ব্যবহার ও পাচার রোধে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁদের জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, মদ ও মাদকের নেশা একজন ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও রাজনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেল।
কোবিন্দ জানান, মাদকের নেশার ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি, উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, অবৈধ মাদক সেবনের ফলে দেশের তরুণ প্রজন্ম ও শিশুদের স্বাস্থ্যের পরিপন্থী। একমাত্র সচেতনতা, প্রতিরোধ, উৎসাহমূলক ও সহায়তামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্যাধিকে রোখা সম্ভব।
এরসঙ্গেই, মাদকাসক্তদের প্রতি সমবেদনার ও সহানুভূতির হাতও বাড়িয়ে দিতে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, মাদকসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য তাদের অভিভাবক, শিক্ষক, চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, এই পদক্ষেপ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক কাজ করে চলেছে।
রাষ্ট্রপতির কথাকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী থাওয়ারচন্দ গহলৌত জানান, মাদকাসক্ত, তাদের পরিবারের সহায়তায় জাতীয়স্তরে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে, যা ২৪-ঘণ্টা কাজ করে চলে।