নয়াদিল্লি: ১২ বছর পর্যন্ত মেয়েদের ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে ফাঁসির সাজার সংস্থান সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। আজ ওই অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ওই অর্ডিন্যান্সে সম্মতি দিয়েছিল।
ফৌজদারি আইন (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০১৮ অনুসারে, এখন থেকে এ ধরনের মামলার জন্য নতুন ফাস্ট-ট্রাক আদালত তৈরি হবে এবং সমস্ত থানাগুলিকে বিশেষ ফরেনসিক কিটস দেওয়া হবে।
এই অধ্যাদেশে ১৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত মেয়েদের ধর্ষণের জন্য কঠোর সাজা এবং ১২ বছরের কম মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যুনতম সাজা সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে, যা যাবজ্জীবনও হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
১৬ বছরের কম কোনও মেয়েকে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে দোষীদের সারা জীবনের জেলের সাজা হবে।
১২ বছরের কম মেয়েকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে কঠোর সাজার সংস্থান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ন্যুনতম সাজা ২০ বছরের জেল, যা যাবজ্জীবন পর্যন্ত হতে পারে বা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন এবং শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ২০১২ (পকসো) পরিবর্তনের জন্য অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়েছিল মন্ত্রিসভায়।
নয়া অধ্যাদেশে দ্রুত তদন্ত ও বিচারের বন্দোবস্তের কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ধরনের ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দুই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। বিচারের সময়সীমাও দুমাস করা হয়েছে। আপিল মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ছ’মাসের মধ্যে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের নীচের কাউকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করলে অভিযুক্তরা আগাম জামিনও পাবেন না।