পটনা: রামনাথ কোবিন্দকে নিয়ে ফের প্রকাশ্যে লালু-নীতীশ দ্বন্দ্ব। মঞ্চে এবার নতুন মুখ, লালু পুত্র তেজস্বী।


ইউপিএ প্রার্থী মীরা কুমারের বদলে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এনডিএর রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন খোদ উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তাঁর কথায়, আদর্শগতভাবে আরএসএস সমর্থিত কোনও প্রার্থীকে আরজেডি সমর্থন করতে পারে না, কারণ তারা সঙ্ঘমুক্ত ভারত চায়। নীতীশ নিজেই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে না, কেন সেই সঙ্ঘের প্রার্থী কোবিন্দকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন তিনি।

তেজস্বীর আগে লালুপ্রসাদ যাদবও নীতীশের সিদ্ধান্তকে বর্ণনা করেন ঐতিহাসিক ভুল বলে। প্রশ্ন করেন, কী করে নীতীশ দাবি করেন, যে তিনি সঙ্ঘমুক্ত ভারতের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যখন নিজেই সমর্থন করছেন সঙ্ঘ সমর্থিত প্রার্থীকে। ‘বিহার কি বেটি’ মীরা কুমারের বদলে কোবিন্দকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে নীতীশ বিরাট ভুল করেছেন বলেও লালু মন্তব্য করেছেন। জানিয়েছেন, এনডিএ-র শরিক ও এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানকেও মীরাকে সমর্থনের জন্য অনুরোধ করবেন তিনি।

বাপ-ছেলের এ সব সমালোচনা অবশ্য মুখ বুজে হজম করেননি নীতীশও। পরিষ্কার জানিয়েছেন, বিরোধীদের কৌশলই তাদের হারের পক্ষে যথেষ্ট। তাঁর বিস্ময়, ২ বছর পর লোকসভা ভোট, সে জন্য এইভাবে বিরোধীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না! বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের জানিয়েছেন, কোবিন্দ তাঁদের রাজ্যপাল, সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতহীন, তাই তাঁকে তাঁদের সমর্থনের সিদ্ধান্ত।

মীরা কুমারকে রাষ্ট্রপতি ভোটে দাঁড় করিয়ে বিরোধীরা হারের কৌশল নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নীতীশ। তাঁর প্রশ্ন, মীরা বিহারের মেয়ে বলে হইচই করা হচ্ছে। তা বিহারের মেয়েকেই এইভাবে হারার জন্য বেছে নেওয়া হল কেন। আগে কেন তাঁর নাম ভাবা হল না। তাঁর পরিষ্কার কথা, কোবিন্দকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রশ্নই ওঠে না। 'ওরা বলছে, ঐতিহাসিক ভুল। ঠিক আছে, সেই ভুলই করতে দিন'।