নয়াদিল্লি: এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার আগে দেশের বেশিরভাগ মানুষই রামনাথ কোবিন্দকে চিনতেন না। চেনার কথাও নয়। কারণ, উত্তরপ্রদেশের কানপুরের পরাউঙ্খ গ্রামের ৭১ বছর বয়সি এই ব্যক্তি এতদিন প্রচারের আলোয় আসেননি। সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে তাঁর মুখ দেখা যায়নি। অথচ এই কোবিন্দই আজ দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। প্রথম বিজেপি সদস্য এবং দ্বিতীয় দলিত হিসেবে রাইসিনা হিলসে যাচ্ছেন কোবিন্দ।


বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং পেশায় আইনজীবী কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় পাওয়ার আগে থাকতেই তাঁর গ্রামের বাড়িতে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই নির্বাচনে কোবিন্দের জয় নিশ্চিত ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি-র প্রতি আনুগত্য এবং সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে অন্যদের ছাপিয়ে গিয়েছেন এই দলিত নেতা। তাঁর নির্বিরোধী আচরণের জন্যই এনডিএ-র শরিক না হয়েও সমর্থন করেছে জেডি(ইউ)।

বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক এবং কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন কোবিন্দ। তিনি দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সেলে ছিলেন কোবিন্দ। তিনি বিবাহিত। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কোবিন্দের পাশে দেখা গিয়েছিল তাঁর স্ত্রী সবিতাকে। তবে তাঁদের সন্তানদের প্রচারে দেখা যায়নি।

বিজেপি বেশ কিছুদিন ধরেই উচ্চবর্ণ ছাড়াও পিছড়ে বর্গের মানুষকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই দলিত মোর্চা ও সর্বভারতীয় কোলি সমাজের প্রাক্তন প্রধান কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। দলিতদের জন্য অতীতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন কোবিন্দ। দলিত ও গরিব মহিলাদের তিনি বিনামূল্যে আইনি সহায়তাও দিয়েছেন। এবার তাঁর ভূমিকা বদলে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসছেন তিনি। ২৫ তারিখ দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন কোবিন্দ।