নয়াদিল্লি: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়কদের আলাদা আলাদা রঙের ব্যালট পেপার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।


বর্তমানে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছনোর চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধী দল। কিন্তু, সেই প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয়, অর্থাৎ উভয়পক্ষই নিজ নিজ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়া অবধারিত হয়ে পড়বে।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময়সীমা আগামী ১ জুলাই শেষ হচ্ছে। তারপরই পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন রঙের ব্যালট পেপার ছাপা শুরু করবে কমিশন। জানা গিয়েছে, সাংসদদের জন্য সবুজ রঙের ব্যালট থাকবে। অন্যদিকে, বিধায়কদের জন্য থাকবে গোলাপী রঙের ব্যালট।


নিয়মানুসারে, একজন সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০৮। যাতে বদল হয় না। অন্যদিকে, একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য নির্ধারিত হয় সেই তাঁর রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজের মোট মূল্য ১০,৯৮,৯০৩।


কলেজের মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৮৯৬। এর মধ্যে ৪,১২০ জন বিধায়ক ও ৭৭৬ জন সাংসদ। আবার সাংসদের মধ্যে ৫৪৩ জন লোকসভার এবং ২৩৩ জন রাজ্যসভার।


কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির জন্য ব্যালট ইংরেজি ও হিন্দিত ভাষায় কমিশনের দফতরে ছাপা হবে।


অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, গোয়া, গুজরাত, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ওড়িশা, পঞ্জাব, সিকিম, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও পুদুচেরির ব্যালট ইংরেজি এবং অন্য ভাষায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যে ছাপা হবে।


এদিকে, গতবছর রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় হরিয়ানায় কালি-বিতর্কের জেরে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিশেষ পেন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, ওই বিশেষ কালি দিয়েই ভোটারকে ভোট দিতে হবে ব্যালটে। না হলে, সেই ভোট বাতিল হবে।