বিজেপির একাংশ যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে মোদী সরকারের সাফল্য হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে, তখন তাকেই হাতিয়ার করে মোদীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ ছুঁড়ে দিলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই রাহুল বলেছিলেন, গত আড়াই বছরে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর মতো কাজ করেছেন মোদী। এরপর কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরূপম সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ভুয়ো বলে বিতর্কে জড়ান। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য অবস্থান স্পষ্ট করে জানায়, তারা সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশেই আছে। কিন্তু, পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারের মুখোশ খুলে দিতে মোদী সরকারের উচিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফুটেজ প্রকাশ করা। সেইসঙ্গে কংগ্রেস প্রশ্ন করে, ইউপিএ আমলেও তিনবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, কিন্তু তখন সরকার নীরবে কাজ করেছিল। কারণ, এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাহলে এখন কেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে গলা ফাটাচ্ছে মোদী সরকার?
এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশে নানা জায়গায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মোদী ও পর্রীকরের ছবি সমেত পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়। এতেই বিতর্ক আরও চরমে ওঠে। যদিও বৃহস্পতিবার সার্জিক্যাল ফুটেজ প্রকাশের সম্ভাবনা আরও একবার উড়িয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর।
রাহুলের আক্রমণের পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে রাজনীতি আরও চরমে উঠল। রাহুলের বক্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, রাহুলের এই মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জার। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মোদীর প্রশংসায় হতাশ হয়েই এহেন মন্তব্য করছেন রাহুল। মানসিকভাবে রাহুল যে দেউলিয়া, এটা তারই প্রতিফলন। সেনাবাহিনীর সাফল্যে প্রশংসিত হচ্ছেন মোদী। তা হজম হচ্ছে না কংগ্রেস সহ সভাপতির। এটা শুধু নিন্দাজনকই নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্যও।
আরও এক বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংহ বলেন, রাহুলের মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতিতে অবনমনের নয়া দৃষ্টান্ত। ভারতীয় রাজনীতিতে কুরুচিকর সংস্কৃতির নতুন উদাহরণ।