চাঁদিপুর: ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আরও একবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারত। পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পৃথ্বী ২ ক্ষেপণাস্ত্র সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরীক্ষা পর্বের অঙ্গ হিসেবে আরও একবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল। ওড়িশার সমুদ্র উপকূলবর্তী চাঁদিপুর থেকে এই মিসাইলটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল।

এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুকে অতি সহজেই আঘাত করতে সক্ষম এটি। এই মিশাইল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। স্বল্পপাল্লার এই ভূমি থেকে ভূমি এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ থেকে ১ হাজার কিলোগ্রাম ওজন বহন করতে পারে। নিপুণ দক্ষতায় সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে এর জুড়ি নেই বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পৃথ্বী ২ মিসাইলে রয়েছে তরল জ্বালানি চালিত ২টি ইঞ্জিন। পৃথ্বী ২ ক্ষেপণাস্ত্রর সফল উৎক্ষেপণের পুরোটাই দায়িত্ব নিয়ে করেছে বিশেষভাবে তৈরি 'স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কম্যান্ড'। এবং তা পর্যবেক্ষণ করেছে 'ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন' বা ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। মিসাইলের গতিপথ ডিআরডিও রাডার, ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম ও টেলিমেট্রি স্টেশনের মারফত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। উল্লেখ করা দরকার, এর আগে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর দুটি পৃথ্বী ২ ক্ষেপণাস্ত্র ওড়িশার চাঁদিপুর থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে আসে। ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নয় মিটার লম্বা এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছেন।