লখনউ: উত্তরপ্রদেশের সীমানায় বিশেষ করে, দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমানায় আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর নথি সহ বাস পাঠাতে বলা হচ্ছে লখনউ-তে! এই ধরনের নির্দেশিকা 'অমানবিক'। এভাবেই ক্ষোভ ব্যক্ত করে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্থিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।


প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘ইমেল মারফত্ আপনার চিঠি রাত ১১.৪০ টায় পেয়েছি। চিঠিতে আপনি আমাদের প্রয়োজনীয় নথি সহ ১০০০ বাস সকাল দশটায় লখনউতে আপনাদের হাতে তুলে দিতে বলেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে, বিশেষ করে, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায়। এমন একটা সময় যখন তাঁরা রাস্তায় হাঁটছেন এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য উত্তরপ্রদেশের সীমানায় সমবেত হচ্ছেন, তখন ১০০০ খালি বাস লখনউতে পাঠানো সময় ও সম্পদের অপব্যবহারই নয়, অমানবিকও বটে’।

প্রিয়ঙ্কা আরও লিখেছেন, ‘এটা অমানবিক তো বটেই, সেইসঙ্গে এই দৃষ্টিভঙ্গি দরিদ্র-বিরোধীও। উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করতে চায় বলে মনে হচ্ছে না’।

প্রিয়ঙ্কা আরও লিখেছেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিতে যানবাহনের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করার যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, সে বিষয়ে আমরা অটল। আপনাকে নোডাল অফিসার নিয়োগের আর্জি জানাচ্ছি, যাতে আমরা তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি’।

পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের বন্দোবস্ত করা হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ঘোষণার পর গত রবিবার দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় গাজিপুরে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক ভিড় করেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর প্রচণ্ড ত্যাগী রবিবার জানান যে, গাজিপুরে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় জমেছে। তাঁদের বাস বা ট্রেনে করে যেতে বলা হচ্ছে। বৈধ পাস ছাড়া কাউকে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানার দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত আটকাতে দিল্লি পুলিশ রবিবার গাজিপুরগামী ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যরিকেড তৈরি করে। শুধুমাত্র যাদের বৈধ পাস রয়েছে এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

যানবাহনে যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। কারণ, বহু পরিযায়ী শ্রমিকই গাজিপুরে পৌঁছতে ট্রাক, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে লিফ্ট নিচ্ছেন। এরফলে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানাায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় বেড়েছে। তাঁরা তাঁদের গ্রামে ফিরে যেতে চাইছেন।