নয়াদিল্লি: ভাড়াটে হতে হলে হতে হবে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মত!

রাজধানীর অভিজাত লুটিয়েন্স এলাকায় যে বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকেন সনিয়া গাঁধী-তনয়া, সেই পৌনে তিন হাজার বর্গমিটারের বাংলোর জন্য প্রত্যেক মাসে বাড়িভাড়া বাবদ দিয়েছেন ৯ হাজার টাকার থেকেও কম!

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রে সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, ক্যাবিনেট সচিবালয় এবং এসপিজির সুপারিশে প্রিয়ঙ্কার নামে এই বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই সময়কার বাজার মূল্যের বিচারে এই বাংলোর ভাড়া ছিল প্রতিমাসে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা। সময়ে সময়ে সেই ভাড়া বেড়ে ২০০২ সালে দাঁড়ায় ৫৩ হাজারের সামান্য বেশি।

কিন্তু, তখন প্রিয়ঙ্কা তৎকালীন কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে চিঠি লিখে জানান, ওই ভাড়া এতটাই বেশি যে তা দেওয়া তাঁর সাধ্যের অতীত। তিনি আরও জানান, নিজের ইচ্ছায় তিনি সেখানে থাকছেন না। স্রেফ নিরাপত্তার খাতিরে তাঁকে সেখানে থাকতে হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে কেন্দ্র ওই বাংলোর ভাড়া মাত্র ৮,৮৮৮ টাকায় স্থির করে।

বর্তমানে প্রিয়ঙ্কা ৩৫, লোধি এস্টেটের ওই টাইপ-৬ বাংলোর জন্য মাসে ৩১,৩০০ টাকা ভাড়া দেন। যেখানে বর্তমান বাজার মূল্যের বিচারে বাংলোর ভাড়া হওয়া উচিত মাসে প্রায় ৮২ হাজার টাকা! সম্প্রতি, তথ্য জানার অধিকারের (আরটিআই) আওতায় আদালতে একটি মামলা দাখিল করেন নয়ডার বাসিন্দা দেবাশিস ভট্টাচার্য। সেই প্রেক্ষিতেই প্রিয়ঙ্কার এই বাড়ি-ভাড়ার অভিনব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে মামলা করছিলেন দেবাশিসবাবু। গত বছর, আরেকটি আরটিআই মামলার মাধ্যমে দেবাশিসবাবু জানতে চান, যে কীভাবে অ-হিমাচলী হয়েও সিমলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে চারাবরাতে জমি কেনার অনুমতি দেওয়া হল প্রিয়ঙ্কাকে? জবাবে, দেবাশিসবাবু কোন রাজ্যের আদি-বাসিন্দা তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রিয়ঙ্কা।

প্রসঙ্গত, কেবলমাত্র প্রিয়ঙ্কাই নন, আরও অনেকে আছেন যাঁরা একইভাবে সরকারি বদান্যতার সুবিধা পেয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি কেপিএস গিল, অল-ইন্ডিয়া অ্যান্টি টেররিস্ট ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এমএস বিট্টা এবং পঞ্জাব কেশরী-র সম্পাদক অশ্বিণী কুমার। জানা গিয়েছে, গিল এবং বিট্টা দুজনই প্রিয়াঙ্কার মতো টাকাই নিজ নিজ বাংলোর জন্য ভাড়াবাবদ গুণছেন। অন্যদিকে, ২০১২ সালে বাংলো ফাঁকা করে দেন অশ্বিণী কুমার।