নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে নামার পর থেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে বিজেপি নেতাদের একাংশের কটাক্ষ, বিদ্রূপ চলছেই। এবার তাঁর পোশাক বাছাই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বস্তির বিজেপি এমপি হরিশ দ্বিবেদী যৌনগন্ধী মন্তব্য, সবাই জানে, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী দিল্লিতে থাকলে জিনস-টপ পরেন, আর উত্তরপ্রদেশে দলের নির্বাচনী কেন্দ্রের লোকজনের কাছে গেলে শাড়ি পরেন, সিঁথিতে সিঁদুর দেন। দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভার দিয়ে সাধার সম্পাদক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। গত সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সনিয়া-কন্যা। লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে প্রিয়ঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে নামার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দ্বিবেদী তাঁকে কার্যত খারিজ করে দেন। বলেন, আমার বা বিজেপির কাছে কোনও ইস্যুই নন প্রিয়ঙ্কা। রাহুলকে ব্যর্থ বললে, প্রিয়ঙ্কাও তাই।
প্রিয়ঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে নামায় অখুশি শাসক দলের কিছু নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কিছু নমুনা।
৩০ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের রোহানিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ রাহুলকে রাবণ বলার পাশাপাশি তাঁর বোনকে সূর্পনখা বলেন। তিনি বলেন, সবাই জানে, লঙ্কায় রাম, রাবণের যুদ্ধের আগে রামের কাছে সূর্পনখাকে পাঠিয়েছিলেন রাবণ। মনে হচ্ছে, আগামী লোকসভা ভোটে রাহুল হবেন সেই রাবণ আর রাম হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে সারা দুনিয়ার সামনে গর্বিত করছেন!


বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্তকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ওরা লোকসভা ভোটে লড়ছে চকোলেটের মতো সুন্দর মুখের ব্যবহার করছে।
বিহারের মন্ত্রী বিনোদ নারায়ণ ঝা-ও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন, প্রিয়ঙ্কার মুখ খুব সুন্দর, কিন্তু রাজনীতিতে বলার মতো কিছু করেননি।